বিসিসিআইয়ের মৌচাকে ঢিল লোধা কমিশনের, বছর শেষে ফিরে দেখা লড়াই
২০১৭ বিদায়ের পথে, দরজায় কড়া নাড়ছে আরও একটি নতুন বছর, ২০১৮। এই গোটা বছরে পাওয়া না পাওয়া অনেক কিছুই আছে।
২০১৭ বিদায়ের পথে, দরজায় কড়া নাড়ছে আরও একটি নতুন বছর, ২০১৮। এই গোটা বছরে পাওয়া না পাওয়া অনেক কিছুই আছে। তবে প্রাপ্তির ঝুলি ভরে উপচে গেছে অনেকক্ষেত্রে। এখন বছর শেষের পথে এসে ফিরে দেখা সেই অধ্যায়ের কয়েকটি পাতা।
বিসিসিআইয়ে বড় রদবদল
জানুয়ারির ২ তারিখে সভাপতি ও সচিব পদ থেকে অনুরাগ ঠাকুর ও অজয় শিরককে পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই। লোধা কমিটির প্রস্তাবিত রিফর্মগুলি বড় ভাবে কাজে লাগাতে প্রায় এক বছর কাটিয়ে দিল বিসিসিআই। জানুয়ারির ২৭ তারিখে বন্ধ খামে নিজেদের পরের পদাধিকারীদের নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দে. সুপ্রিম কোর্ট।
কমিটি অফ অ্যাডমিনিসট্রেটর
জানুয়ারির ৩০ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন ক্যাগ বিনোদ রাইকে বিসিসিআইয়ের চার সদস্যের কমিটি অফ অ্যাডমিনিসট্রেটর নিয়োগ করে। ঐতিহাসিক ও লেখক রামচন্দ্র গুহ, প্রাক্তন ভারতীয় মহিলা দলের অধিনায়ক ডায়না এডুলজি, বিক্রম লিমায়ে আইডিএফসি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এই বিশেষ দলে নির্বাচিত হন।
সরে গেলেন একজন
১ জুন অবশ্য কমিটি অফ অ্যাডমিনিসট্রেটর থেকে পদত্যাগ করেন রামচন্দ্র গুহ। ১২ জুলাই সিওএ চতুর্থ স্ট্যাটাস রিপোর্টে জানান লোধা কমিশনের প্রস্তাবিত বিভিন্ন রিফর্ম আটকানোর জন্য একাধিকবার বিভিন্ন বিসিসিআই সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এন শ্রীনিবাসন ও নিরঞ্জন শাহ।
অনুরাগ ও সুপ্রিম কোর্ট
১৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হয় অনুরাগ ঠাকুরকে। কারণ এর আগে সুপ্রিম কোর্টের কাছে মিথ্যা তথ্য জমা দিয়েছিলেন। সেই মিথ্যা ভাষণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে হলফনামা জমা দিতে হয় তাঁদের।
শ্রীনি- নিরঞ্জনকে সুপ্রিম হুড়কো
২৬ জুলাইয়ের বিসিসিআইয়ের স্পেশাল জেনরাল বৈঠকে আসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা তলে তলে সেরে নিয়েছিলেন কিন্তু তাতেও বাধা দেয় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনওভাবেই বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হবে না শ্রীনিবাসন ও নিরঞ্জন শাহকে।
লোধা বনাম সিওএ দ্বন্দ্ব
১৬ অগাস্ট সিওএ পঞ্চম স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিওএ। বিসিসিআইয়ের উপরের স্তরের আধিকারিকরা ঠিকভাবে লোধা কমিটির রিফর্ম কাজে লাগাচ্ছেন না এই অভিযোগে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন। এরপর ১১ সেপ্টেম্বরে বিসিসিআইয়ের নতুন সংবিধানের ড্রাফট সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হয়। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের বিভিন্ন সময়ে কোর্ট বিসিসিআইকে নিজেদের নতুন প্রস্তাবিত সংবিধান নিয়ে নির্দেশাবলী পাঠায়। তারপর সেই মতো কাজও করছে বিসিসিআই।