করোনা আতঙ্কে জাপানে স্বাগত অলিম্পিকের মশাল, তবে গেমসের ভবিষ্যত!
করোনা আতঙ্কে জাপানে স্বাগত অলিম্পিকের মশাল, তবে গেমসের ভবিষ্যত!
বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা করোনা আতঙ্কেই ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের মশালকে স্বাগত জানাল জাপান। অনুষ্ঠান অনাড়ম্বর হলেও এর গুরুত্ব কতটা, তা জানে শিনজো আবে সরকার। তা সত্ত্বেও গেমসের ভবিষ্যত ঠিক কতটা নিশ্চিত, জানা নেই কারও। করোনা আতঙ্কেই জাপান সরকার টোকিও-তে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য বদ্ধপরিকর থাকলেও, প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।
বাড়ছে মৃত্যু
নোবেল করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তার করেছে বিশ্বের ১৮২টি দেশে। বিশ্বব্যাপী মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় আড়াই লক্ষ। করোনার জেরে জাপানে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক হাজার।
|
করোনা আতঙ্কে মশাল
করোনা আতঙ্কে কোনও অনুষ্ঠান ছাড়াই শুক্রবার গ্রিস থেকে জাপানে পৌঁছেছে অলিম্পিকের ঐতিহ্যবাহী মশাল। বিশেষ চাটার্ড বিমানে মাতসুশিমা এয়ার বেসে নামানো হয় ওই মশাল। জাপানের প্রাক্তন অলিম্পিয়ান সাওরি ইয়োশিদা এবং তাদাহিরো নোমুরা, বিমানঘাঁটি থেকে মশালটি সংগ্রহ করে চেরি ব্লসমের আকারে তৈরি মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যান। সীমিত ও নির্বাচিত দর্শক ও অতিথিদের সামনে অলিম্পিকের মশালটি উন্মোচন করা হয়। গেমসের প্রধান উদ্যোক্তা ইয়োসহিরো মোরির বক্তব্যের পর মশালে আগুন দেন জাপানের ওই অলিম্পিয়ান।
অনাড়ম্বর উদযাপন
অলিম্পিকের ঐতিহ্যবাহী মশাল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে ২০০ জন শিশুর উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের লাগামছাড়া বৃদ্ধির জন্য সেই কর্মসূচি বাতিল করে দেয় জাপান সরকার। তবে আপদকালীন পরিস্থিতে অলিম্পিকের ঐতিহ্যবাহী মশালকে স্বাগত জানাতে পেরে তাঁরা খুশি বলেই জানিয়েছেন টোকিও গেমসের সিইও তোসহিরো মুটো।
উল্লেখযোগ্য বিষয়
২০১১ সালে ভূমিকম্প, সুনামি ও পারমানবিক বিস্ফোরণে বিপর্যস্ত হওয়া মিয়াগি প্রভিন্সের কাছে এটি ফিরে আসার অলিম্পিক। ওই প্রভিন্সেরই মাতসুশিমা বিমানঘাঁটিতে গেমসের ঐতিহ্যবাহী মশাল নামিয়ে সেখানকার মানুষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে জাপান সরকার।