সায়নীকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে , ঘরের মেয়েকে সম্বর্ধনা-বরণে ভরিয়ে দিলেন সকলে
ইংলিশ চ্যানেল পার করে নজির গড়ে ঘরে ফিরলেন বাঙালি সাঁতারু সায়নী ঘোষ
শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছনোর পর থেকে একের পর সম্বর্ধনায় ভাসছেন সায়নী। ইংলিশ চ্যানেল পার করে গর্বিত বিজয়ী মেয়ে ঘরে ফিরলেন। সায়নীকে ঘিরে উচ্ছ্বাসও ছিলেন তুঙ্গে। বিমান বন্দরে মা কে দেখেই সায়নীর প্রথম কথা ছিল মা আমি পেরেছি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সায়নীকে এখন আরও আত্মবিশ্বাসী। একটা স্বপ্নপূরণ তাঁকে আরও বেশি মোটিভেট করে তুলেছে। জানেন শক্ত হলেও স্বপ্ন পূরণের রাস্তা অসম্ভব নয়।
মায়ের মেয়েকে বরণ
ঘরে ঢোকার আগেই মা , আত্মীয় পাড়া প্রতিবেশী সকলেই হাজির হয়েছিলেন বাড়ির সামনে। যুদ্ধ জয় করে ফিরলে যেরকম বীরবন্দনা করা হয়, অনেকটা সেই ঢঙেই বরণ করে নেওয়া হয় সায়নীকে।
জলকন্যাকে বরণ করল মানুষ
এদিকে বাড়ি ঢোকার আগে পূর্ব সাতগাছিয়া সংহতি ক্লাবে তাঁকে সম্বর্ধনার রাজকীয় আয়োজন ছিল। সায়নীকে দেখতে অত রাতেও হাজির হয়েছিলেন বহু মানুষ। রাজ্য সরকার যা করতে পারেনি তাই করে দেখায় এই ক্লাব। আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
কঠিন পথ পেরিয়ে সাফল্য
সায়নী চ্যানেল পারাপার করার কঠিন অভিজ্ঞতার কথাও জানান। সাঁতরানোর সময় ঠান্ডার পাশাপাশি তাঁর মূল চ্যালেঞ্জ ছিল জেলিফিস। সারা গায়ে জ্বালা করছিল তাঁর।
মা তৈরি মেয়ের জন্য
লড়াই করে ফিরে আসা ইংলিশ চ্যানেলজয়ী মেয়ের জন্য মা রূপালী দাস পছন্দের পদ রান্না করে অপেক্ষা করছিলেন। মেয়েকে কাছে পেয়ে তাঁর আনন্দের সীমা নেই এদিন।
সামনে আরও কঠিন লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ
আরতি শর্মা, বুলা চৌধুরিদের পাশে জায়গা করে নিয়েছেন সায়নী। তাঁর কাছে এই বিরল সম্মান গর্বের। এখনও অপ্রত্যাশিত মনে হচ্ছে, ঘোরের মধ্যে রয়েছেন এই জলকন্যা। ইংলিশ চ্যানেল জয় করে ফিরে সায়নী বলছিলেন, ‘এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আমি ইংলিশ চ্যানেল করে ফিরেছি। মনে হচ্ছে সব কিছুই স্বপ্ন। এখনও ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখছি, আমি ফ্রান্সের তীরে পৌঁছতে পারছি না। ফ্রান্সের তীরে দাঁড়িয়ে রয়েছি, এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না।' প্রায়মারি স্কুলে পড়ার সময় খুদে সায়নী স্বপ্ন দেখতেন ইংলিশ চ্যানেল জয়ের। আর আজ স্বপ্ন অনেকটাই বেড়ে গেছে। স্বপ্ন এবার জিব্রাল্টার ও ক্যাটালিনা চ্যানেল অতিক্রম।