(ছবি) বক্সিং কিংবদন্তি মহম্মদ আলি সম্পর্কে এই তথ্যগুলি অনেকেই জানেন না
দাসপ্রথা বিরোধী রাজনীতিক ক্যাসিয়াস ক্লে-র নামানুসারে জন্মের সময়ে নামকরণ হয়েছিল ক্য়াসিয়াস মার্সেলাস ক্লে-র পুত্রের। পরে সেই ছেলেই সারা পৃথিবীর কাছে মহম্মদ আলি নামে পরিচিত হন। সম্ভবত জন্মের পর নামকরণের মধ্য দিয়েই আলির মনের মধ্যে জাতি ও বর্ণ বিদ্বেষবিরোধী মানসিকতার বীজ বপন করেছিলেন তাঁর পিতা।
ক্যাসিয়াস ক্লে থেকে যেভাবে বক্সিং কিংবদন্তি হয়ে উঠলেন মহম্মদ আলি
প্রয়াত হলেন বক্সিং কিংবদন্তি মহম্মদ আলি
সেই বিরোধিতা, বেপরোয়া, হার না মানা মানসিকতার পরিচয় শুধু বক্সিং রিংয়েই নয়, জীবনের রিংয়েও বারবার দিয়েছেন মহম্মদ আলি। সেভাবেই দীর্ঘ তিন দশক পার্কিনসনের মতো রোগকে আটকে বেঁচে ছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত ৭৪ বছর বয়সে 'নকআউট' হতেই হল অবশেষে। কিংবদন্তি এই বক্সারের জীবনের নানা অজানা ঘটনা জেনে নিন নিচের স্লাইডে একঝলকে।
বিপাশা বসু
লাল পাড় সাদা সিল্কের শাড়িতে আদ্যোপান্ত বাঙালি বিপাশা।
বক্সিংয়ে প্রবেশ
সাইকেল চোরকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন মাত্র ১২ বছর বয়সে। সেই সূত্রেই বক্সিং শিখতে শুরু করেন মহম্মদ আলি। সালটা ছিল ১৯৫৪। তাঁকে পথ দেখিয়েছিলেন কেন্টাকির লুইসভিলের পুলিশ অফিসার জো মার্টিন। যিনি একজন বক্সিং ট্রেনারও ছিলেন।
করিনা কাপুর
নবাব পরিবারের খান বেগম একেবারে বাঙালি টুকটুকে বউটি।
আলির জন্ম
১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে জন্ম হয় আলির। জন্মের সময়ে তাঁর নামকরণ করা হয় ক্য়াসিয়াস মার্সেলাস ক্লে নামে। এই নামে ১৯ শতকে একজন দাসপ্রথা বিরোধী নেতা ছিলেন। তাঁর নামানুসারেই আলির নামকরণ হয়।
সুস্মিতা সেন
বাঙালি হলেও বাঙালিয়ানা কমই রয়েছে সুস্মিতার চেহারায়। দুর্গাপুজোতে লাল পাড় সাদা শাড়িতে বিশ্বসুন্দরী।
নাম বদল
১৯৬৪ সালে প্রথমবার হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পরে নিজেকে 'নেশন অব ইসলাম'-এর সদস্য বলে ঘোষণা করেন। নিজের নাম বদলে প্রথমে ক্যাসিয়াস এক্স রাখেন। পরে সেটা বদলে হয় মহম্মদ আলি।
ঐশ্বর্য রাই
নিজে বাঙালি না হলেও শাশুড়ি একেবারে মনে প্রাণে বাঙালি। তার তার বউমাও এখন আধা বাঙালি।
বক্সিং থেকে নির্বাসন
১৯৬৭ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর হয়ে সেখানে যেতে অস্বীকার করেন মহম্মদ আলি। এর ফলে তাঁকে গ্রেফতার হতে হয়। তাঁর বক্সিং লাইসেন্স বাতিল করে নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাথলেটিক কমিশন। আলির পদক কেড়ে নেওয়া হয় ও ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়। ১৯৭০ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি পান আলি।
রানি মুখোপাধ্যায়
বাড়ির দুর্গাপুজোয় রানি।
গান ও অভিনয়ের জগতে প্রবেশ
বক্সিং থেকে তাঁকে নির্বাসনে পাঠানোর সময়ে মাঝের সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় মঞ্চে অভিনয় ও গানবাজনাকে বেছে নেন আলি। সেই সময়ে এতেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন এই কিংবদন্তি বক্সার।
কাজল
মাকে বরণ করছেন যে প্রাণখোলা মেয়েটি কে বলবে তিনি বলিউডের মোহময়ী অভিনেত্রী। একেবারে যেন পাশের বাড়ির মেয়ে।
অ্যালবাম রেকর্ড
কবি হিসাবেও খারাপ ছিলেন না মহম্মদ আলি। ছন্দ মিলিয়ে কবিতা লিখতেন। ১৯৬৩ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে নিজের লেখা কবিতা ও লেখা অ্যালবামের মতো করে রেকর্ড করেন তিনি।
সেলিনা জেটলি
পুজোর থালা হাতে বঙ্গ বিউটি সেলিনা।
আলির জন্মসূত্র
জন্মসূত্রে আলির পূর্বপুরুষ আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা ছিলেন। আলির প্রপিতামহ অ্যাবে গ্র্য়াডি একজন আইরিশ ছিলেন। সমপর্কে তিনি আলির মা ওডেসা লি-র দাদু ছিলেন। ১৮৬০ সালে তিনি এসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
শ্রীদেবী
দুর্গাপুজোয় সিঁদুর খেলার পর শ্রীদেবী।
ভোর চারটেয় বক্সিং ম্যাচ
১৯৭৪ সালের হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্য়াচটি মহম্মদ আলি বনাম তৎকালীন বক্সিং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জর্জ ফোরম্যানের মধ্যে খেলা হয়েছিল। ম্য়াচটি হয় মধ্য আফ্রিকার দেশ জাইরে-তে (বর্তমানে নাম কঙ্গো)। যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সকলে ম্যাচটি দেখতে পারে, সেজন্য সময় মিলিয়ে ম্য়াচটি ভোর চারটের সময় অনুষ্ঠিত হয়। এবং সেটি জিতে ফের একবার বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হন মহম্মদ আলি।
বিদ্যা বালন
বাঙালি না হলেও তিনি মন থেকে যে বাঙালি তা সবসময় স্বীকার করেন বিদ্যা। বিদ্যার চেহারাতেও একটা আলগা বাঙালিয়ানা রয়েছে। বিয়ের পর সিঁদুতে শাড়িতে তারই ঝলক।
প্রথম অলিম্পিক মেডেল
১৯৬০ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ১৮ বছর বয়সে বক্সিংয়ে সোনার পদক জেতেন আলি। তবে দেশে ফিরে বর্ণবিদ্বেষের বিরোধিতা করে অভিমানে সেটা ওহাইয়ো নদীতে ফেলে দেন তিনি। পরে ১৯৯৬ সালে অলিম্পিক কমিটি তাঁকে সম্মান জানিয়ে ফের একটি সোনার পদকের রেপ্লিকা আলির হাতে তুলে দেয়।
চারবার বিয়ে
মোট চারবার বিয়ে করেন মহম্মদ আলি। তাঁর মোট ৭জন মেয়ে ও ২জন ছেলে রয়েছে।
পার্কিনসন রোগ
দীর্ঘ কেরিয়ারে বক্সিং গ্লাভসের আঘাত সইতে সইতে পার্কিনসন রোগে আক্রান্ত হন মহম্মদ আলি। মোট ৩২ বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
সবচেয়ে কমবয়সে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
১৯৬৪ সালে সনি লিস্টনকে হারিয়ে মাত্র ২২ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ বক্সিং হেভিওয়েট চ্য়াম্পিয়ন হন আলি। ১৯৯৯ সালে স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটের বিচারে শতাব্দির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মহম্মদ আলি। বিবিসির বিচারে তিন হন শতাব্দির সেরা খেল-ব্যক্তিত্ব।