কার্ডিফেই সিরিজ গুটিয়ে ফেলতে মরিয়া টিম কোহলি, ফিরে আসার লড়াইয়ে ইংল্যান্ড
ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই কার্ডিফে দ্বিতীয় টি২০ জিতে সিরিজ এখানেই শেষ করে দিতে মরিয়া টিম কোহলি।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২টি টি২০ ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করার পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সেই পারফরম্যান্স বজায় রেখেছে ভারত। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই কার্ডিফে দ্বিতীয় টি২০ জিতে সিরিজ এখানেই শেষ করে দিতে মরিয়া টিম কোহলি।
ইংল্যান্ড দল সীমিত ওভারের ক্রিকেটে গত কয়েক বছর ধরেই ভালো পারফরম্যান্স করছে। তার উপরে ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশে খেলছে। প্রথম ম্যাচে ভালো শুরু করেও স্পিনের ঘায়ে ব্যাটিং তাড়াতাড়ি গুটিয়ে গিয়েছে। কুলদীপ যাদব যে ধাক্কা দিয়েছেন তা সামলে উঠতে ইংল্যান্ডের সময় লাগবে। আর সেই সুযোগে সিরিজ পকেটে পুরে নিয়ে চায় ভারত।
এছাড়া ইংল্যান্ডের সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের ব্যবধান কমে আসবে। আর ৩-০ ব্যবধানে জিতলে অস্ট্রেলিয়াকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারত উঠে আসবে। প্রথম স্থানে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গেও ব্যবধান কমে আসবে।
প্রথম ম্যাচে কুলদীপের স্পিনে ঘায়েল হওয়ার পরে ইংল্যান্ড কার্ডিফে প্র্যাকটিসে স্পিন বোলিং খেলায় জোর দিয়েছে। ২০০৫ সালে এভাবেই শ্যেন ওয়ার্নকে সামলাতে ফন্দি এঁটেছিল ইংরেজরা। সেটা কতটা কার্যকর হবে সেটাই দেখার।
প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড মিডল অর্ডারে ধস নামে। জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট দুজনেই স্পিন খেলতে গিয়ে স্টাম্প হন। কুলদীপের গুগলি বুঝতেই পারেননি। সেই অবস্থা থেকে ইংল্যান্ড বেরোতে চাইছে।
ভারতের পক্ষে ভালো খবর, ব্যাটিং ইউনিট আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকেই ফর্মে রয়েছে। বিরাট নিজে এখনও বড় রান পাননি। বাকী দুই একজন বাদে ব্যাটিং আপাতত চিন্তায় ফেলেনি। তবে ইংল্যান্ডে সফল হতে গেলে পেস বোলারদের ফর্মে থাকতে হবে। উমেশ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমাররা যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবেন, ততই দলের মঙ্গল।