আইপিএলে নতুন রেকর্ডের সামনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স
ছয়ে ছয়। আইপিএলের চলতি মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সঙ্গে জুড়ে যাওয়া এই তকমা এখন 'টক অফ দ্য কান্ট্রি'।
ছয়ে ছয়।
আইপিএলের চলতি মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সঙ্গে জুড়ে যাওয়া এই তকমা এখন 'টক অফ দ্য কান্ট্রি'। ধারে-ভারে-দামে আইপিএলে অন্যান্য দলের থেকে এগিয়ে থাকা বিরাট কোহলিরা, নামের প্রতি সুবিচার তো দূর, ছয় ম্যাচের সবকটিতেই হেরে, ক্রিকেট প্রেমীদের রসিকতার পাত্রে পরিণত হয়েছেন।
আর এক কদম দূর। সাতে সাত হলেই নতুন রেকর্ডের মালিক হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
আর এক ম্যাচ হারলেই দিল্লিকে টপকে যাবেন বিরাট কোহলিরা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সালের আইপিএলে টানা ছয় ম্যাচে হেরেছিল, সেই সময়কার দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। সপ্তম ম্যাচে জয়ের পর শাপমুক্তি হলেও, গোটা টুর্নামেন্টে তিনটির বেশি ম্যাচ জিততে পারেনি রাজধানীর দল।
২০১৩-তেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। সে বছর আইপিএলে পাঁচে শেষ করেছিল তাঁর দল। পরের বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স তাদের আইপিএল জার্নি শেষ করে সাতে। ২০১৫ সালে স্বপ্নের ফর্মে থাকা কোহলির চওড়া ব্যাটে ভর করে, নক আউট স্টেজে প্রবেশ করেছিল আরসিবি। ৫০৫ রান করেছিলেন কোহলি। পরের মরশুমে চারটি শতরান সহ বিরাটের দুনিয়া কাঁপানো ৯৭৩ রান, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে দেয়। কাঁধে চোটের কারণে বিরাট, ২০১৭ সালের আইপিএলের প্রথম চারটি ম্যাচ খেলতে না পারায়, গোটা টুর্নামেন্টেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আরসিবি। ওই বছর মাত্র তিনটি ম্যাচেই জিততে পেরেছিলেন কোহলিরা। গত মরশুমে বিরাটের ব্যাট থেকে ৫৩০ রান এলেও, লিগ তালিকায় ছয়ে শেষ করেছিল আরসিবি।
কাকতালিয়ভাবে সেই ছয়ের ফাঁড়াতেই এবারও আটকে আছে বিরাটদের স্বপ্ন। গত মরশুমের শেষ ম্যাচ ধরলে, ব্যাঙ্গালোরের টানা হারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় সাতে। তবে এই পরিস্থিতি থেকে তাঁরা বেরোতে চায়। নিজেদের খামতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক। দলের সমস্যাটা ঠিক কোথায়, তা অবিলম্বে খুঁজে বের করা হবে বলে সমর্থকদের আশ্বাসও দিয়েছেন বিরাট কোহলি।