মুশফিকের পর পাকিস্তান সফরে না বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের
এবার পাকিস্তান সফরে যাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফদের একাংশ। এর আগে পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারে আর্জি জানিয়েছিলেন দলের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
জানা গিয়েছে মুশফিকের পাশাপাশি পাকিস্তান সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শদাতা ড্যানিয়েল ভেত্তরি ও ব্যাটিং পরামর্শ নিল ম্যাকেঞ্জি। পাশাপাশি পাকিস্তান সফরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন ও কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরনও।
আগেই পাকিস্তান সফরে যাওয়ার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করে দল থেকে নিজের নাম সরানোর জন্যে বাংলাদেশ বোর্ডকে আবেদন করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর একে একে দল থেকে নাম প্রত্যাহার করেন দলের সঙ্গে যুক্ত বিদেশি কোচিং স্টাফরাও। তবে কোচিং স্টাফরা না গেলেও পাকিস্তান সফরে সমস্যা নেই প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর।
২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হলে চলেছে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর। ২৪ জানুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। সেখানেই ২৫ এবং ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বাকি দুটি ম্যাচ। এছাড়া আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তবে দুই ভাগে টেস্ট সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে। ৭-১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালাপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এরপর দেশে ফিরে যাবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এরপর এপ্রিল মাসে আবার পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ। ৩ এপ্রিল করাচিতে একমাত্র ওয়ানডে খেলার পর ৫ এপ্রিল সেখানেই খেলবে দ্বিতীয় টেস্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ইচ্ছা ছিল সেই ম্যাচটি হোক বাংলাদেশে। তবে তাতে পাকিস্তানের আপত্তি থাকায় এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এদিকে দল থেকে মুশফিকুর নিজের নাম তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জিনিয়ে ফোন করেন সেদেশের মুখ্য নির্বাচককে। সে কথা বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নিজেই জানান সংবাদ সংস্থাকে। তিনি বলেন, 'মুশফিক আমাকে ফোন করেছিল যে সে পাকিস্তানে যেতে চায় না। আমরা এখন তার আনুষ্ঠানিক চিঠির অপেক্ষায় আছি। সে তা দিলেই এই সিরিজ থেকে তাকে বিবেচনায় রাখব না।' প্রধান নির্বাচকের এই দাবি অনুযায়ী শনিবার বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান চিঠি দিয়ে নিজের মত জানিয়ে দেন।