অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত: ম্যাচ এখনও সমান-সমান - আর কী বললেন দ্বিতীয় দিনের নায়ক অশ্বিন
আর অশ্বিনের মতে অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত প্রথম টেস্ট এখনও সমান-সমান অবস্থায় রয়েছে।।
শুক্রবার অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অবশ্য শুধু তিনি একাই নন, ভারেতর গোটা বোলিং ইউনিটই ভাল বল করে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে ১৯১ রানে বেঁধে রেখেছে। কিন্তু এর পরেও মোটেই উচ্ছ্বসিত নন দিনের নায়ক অশ্বিন। তাঁর মতে খেলা এখনও পঞ্চাশ-পঞ্চাশ অবস্থায় রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া এখনও ৫৯ রানে পিছিয়ে থাকলেও অশ্বিন এই এগিয়ে থাকাটাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর মতে এই জায়গা থেকে যারা নিজেদের ছন্দ ধরে রাখতে পারবে, তারাই জয়ী হবে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সেরা বল করছেন তিনিই। ৫০ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেছেন। কিন্তু তিনি মনে করছেন, অপর প্রান্ত থেকে বাকিরাও সমান ভাল বল না করলে তাঁর এই সাফল্য আসত না।
|
'প্য়াক'- মানসিকতা
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান দলে তাঁরা গোটা বোলিং বিভাগকেই একটি ইউনিট হিসাবে দেখেন। স্পিনার-জোরে বোলার আলাদা করা হয় না। কারণ প্রত্যেক বোলারকেই অপরপ্রান্ত থেকে সাহায্য় করে আরেক বোলার, সে তিনি পেসার হোন কি স্পিনার। তাদের এই 'প্য়াক'- মানসিকতার এক সুন্দর উদাহরণ শুক্রবার অ্যাডিলেড ওভালে দেখা গিয়েছে।
|
প্রতিটি রানই দামি
তিনি জানিয়েছেন যে জায়গায় এখন খেলা দাঁড়িয়ে আছে, তাতে এখন প্রতিটি রানই সোনার মতো দামী। অশ্বিন এদিন চা-বিরতচির আগে ও পরে একটানা ২২ ওবারে বল করেন। তিনি জানিয়েছেন, লক্ষ্য ছিল যাতে বেশি রান না বেরিযে যায়। অস্ট্রেলিয়ার রান শুষে নিয়ে তাদের বোতলবন্দী করতে চেয়েছিলেন তাঁরা।
|
আরও মন্থর হবে
অশ্বিন দাবি করেছেন বৃহস্পতিবার ভারতীয় ইনিংসের সময় অ্যাডিলেড ওভালের পিচের যে গতি ছিল, তা আজ লক্ষ্যনীয়ভাবে কমে গিয়েছিল। পরের তিনদিনে পিচ আরও মন্থর হবে বলেই তাঁর ধারণা। তবে পিচে ঘাস আছে বলে, ২০১৪ সালের সফরের মতো পিচে ফুটমার্ক তৈরি হবে না।
|
দুদিকেই বল নড়েছে
তিনি জানিয়েছেন, পিচ থেকে তিনি দুদিকেই বল ঘোরাতে পেরেছেন। বলের সেই নড়াচড়ার উপর তাঁর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণও ছিল। এভাবেই কখনও তিনি বল ভিতরের দিকে টেনে এনেছেন, কখনও বাইরে নিয়ে গিয়েছেন। আর পিচের ওই সাহায্য়টুকু কাজে লাগিয়েই তিনি সাফল্য পেয়েছেন।
|
শন মার্শ ও বাঁহাতি
এদিন অশ্বিনের স্বীকার তিনজনই বাঁহাতি। বিশেষ করে এই নিয়ে টেস্টে তিনি পাঁচবার শন মার্শের উইরকেট নিলেন। অশ্বিন জানিয়েছেন, শন মার্শ স্পিনারদের খুব ভাল খেলেন। তাই এই ম্যাচে নামার আগে তাঁরা মার্শের ব্যাটিং-এর ভিডিও দেখে দেখে একটা প্যাটার্ন বের করেছিলেন। সেই মতো পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন, যা আজ কাজে লেগে গিয়েছে।
আঙুল পুড়িয়ে শেখা
তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১১ সালে তাঁকে খুব ভাল খেলে দিয়েছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। অনভিজ্ঞতার কারণে ভুগতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেটা ছিল তাঁর কথায় 'আঙুল পুড়িয়ে শেখা'। আর সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়েই তিনি ২০১৪ সালে সফল হয়েছিলেন। তাই এইবারও অস্ট্রেলিয়ায় ভাল বল করার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।