সব আশা ব্যর্থ, স্মিথ, ওয়ার্নারদের উপর উঠছে না নিষেধাজ্ঞা
নিষেধাজ্ঞা উঠছে না। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন ব্যানক্রফট-এর ইস্যুতে জানিয়ে দেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত।
নিষেধাজ্ঞা উঠছে না। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন ব্যানক্রফট-এর ইস্যুতে জানিয়ে দেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের জারি করা শাস্তি এই তিন ক্রিকেটারের উপর রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শাস্তি কোনওভাবেই তারা কমাতে রাজি নয়। চলতি বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে বল বিকৃতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ক্যামেরন ব্যানক্রফট, স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার-এর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
ক্য়ামেরন ব্যানক্রফট-কে নয় মাসের এবং স্মিথ এবং ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য ক্রিকেট মাঠ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন এই শাস্তি কমানোর আবেদন রেখেছিল। তাদের যুক্তি ছিল এই তিন ক্রিকেটার ইতিমধ্য়ে প্রয়োজনের থেকে বেশি শাস্তি কাটিয়ে ফেলেছেন। সুতরাং এই তিন জনকে দ্রুত ক্রিকেট ময়দানে ফিরতে দেওয়া হোক।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্য়াসোসিয়েশন-এর মতো করে ভাবতে রাজি নয়। তাদের সাফ কথা ক্রিকেট ময়দানের মূল্যবোধকে মাড়িয়ে না দিতে অ্যাসোসিয়েশন-এর সকলেই ঐক্যমত পোষণ করেছেন। তিন ক্রিকেটার যা করেছেন তাতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া-র যেমন মুখ পুড়়েছে তেমনি কলুষিত হয়েছে জেন্টলম্যান গেম।
ব্যানক্রফট-এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের ২৯ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্মিথ এবং ওয়ার্নারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠবে ২০১৯-এর ২৯ মার্চ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কঠোর মনোভাবের অবশ্য সমালোচনা শুরু করেছেন অনেকে। এই সব ক্রিকেটপ্রেমীদের মতে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এমন কঠোর মনোভাব দেখিয়ে বুলিং-এর মতো বিষয়কে মান্যতা দিচ্ছেন যা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের উপরে খারাপ প্রভাব ফেলছে। নিষেধাজ্ঞার ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই শুধু এক বছরের জন্য স্মিথ, ওয়ার্নার ছিটকেই যাননি, সেই সঙ্গে আইপিএল খেলতে না পারায় দু'জনে কয়েক কোটি কাটা খুঁইয়েছেন। সবদিক দিয়ে এই সিদ্ধান্তে কার্যত হতাশ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্য়াসোসিয়েশন।