টি২০ সিরিজেও উঠল অবসরের দাবি! বিশ্বকাপের জিততে কিন্তু ধোনিকে লাগবেই - রইল ৫ যুক্তি
আসন্ন আইসিসি বিশ্বকাপ ২019 জয়ের জন্য কেন এমএস ধোনিকে প্রয়োজন ভারতের? আলোচনা করা হল ৫টি কারণ।
বড় অধৈর্য ভারতীয় সমর্থকরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি২০ ম্য়াচে মন্থর ব্য়াটিং করার পর মহেন্দ্র সিং ধোনির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকদের একাংশ। হাসি ঠাট্টার পাশাপাশি তাঁর অবসর নেওয়ার দাবিও উঠেছিল। অনেকে বলেছিলেন এই ভারতীয় দলে তাঁর দরকার নেই। বিশ্বকাপেও ধোনি না থাকলেই ভাল।
বলাই বাহুল্য বরাবরের মতো পরের ম্যাচেই ২৬ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে তাদের সপাটে জবাব দিয়েছেন এমএসডি। কিন্তু সত্যিই কি ধোনিকে ছাড়াই এই ভারতীয় দল বিশ্বকাপ জিততে পারে? দলে এক নয় দুই জোরে বোলিং করতে পারা অলরাউন্ডার, দুই বিশ্বমানের রিস্ট স্পিনার, সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা দুই ওপেনার রয়েছে। এরপর মনে হতেই পারে ধোনি থাকা না থাকায় বিশেষ তফাত হবে না।
কিন্তু, বিশ্বকাপ জিততে ইংল্যান্ড-গামী বিমানে সবার আগে যাঁকে দরকার বিরাট কোহলির তিনি হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কেন? লম্বা কারণের তালিকা দেওয়া যায়। নিচে প্রধান পাঁচটি আলোচনা করা হল।
নড়বড়ে মিডল অর্ডারে শক্তি
ভারতের একমাত্র দুর্বলতা যে মিডল অর্ডার, এটা কোনও গোপন বিষয় নয়। আর এটাও সকলের জানা, ধোনি এখন আর আগের মতো শুরু থেকেই ধুন্ধুমার ব্যাটিং করতে পারেন না। তার চেয়ে এখন তিনি ইনিংস গঠনে বেশি কার্যকরী। আম্বাতি রায়ডু, কেদার যাদব, হার্দিক পাণ্ডিয়া, দীনেশ কার্তিকদের মতো বড় শট খেলিয়েদের পাশে তাঁর এই ভূমিকা একেবারে আদর্শ। এছাড়া তাঁর উপস্থিতিই উল্টো দিকের ব্যাটসম্যানদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেয়।
বিশ্ব-সেরা উইকেটরক্ষক
ব্যাটসম্যান ধোনি আগের থেকে অনেকটাই শান্ত হয়ে এলেও উইকেটরক্ষক ধোনি যেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ক্ষিপ্র হয়ে উঠছেন। নিউজিল্যান্ড সফরেও তাঁর তড়িত গতির স্টাম্পিং, রান আউট দেখা গিয়েছে। উইকেটের পিছনে তিনি থাকা মানে কখনই স্বস্তিতে থাকতে পারে না ব্য়াটসম্য়ান। ৩৭ বছর বয়সে এখনও তিনিই বিশ্বের ক্ষিপ্রতম উইকেটরক্ষক। শুধু তাই নয়, তিনি উইকেটের পিছনে থাকা মানে ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রেও ভারতের ভুল হবে না।
বিপুল অভিজ্ঞতা
১৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ধোনি। বলা যেতে পারে ক্রিকেট মাটে ঘটতে পারে এমন সবকিছুরই অভিজ্ঞতা রয়েচে তাঁর। কোনও ভাবেই তাঁকে ঘাবড়ে দেওয়া যাবে না। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে এই বিপুল অভিজ্ঞতা খাজানা হয়ে উঠতে পারে।
নিরুদ্বিগ্ন শীতল উপস্থিতি
ক্রিকেট খেলাটা যতটাই শারীরিক দক্ষতার ঠিক ততটাই মানসিক শক্তির পরীক্ষা। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী চাপ চরমে উঠতে পারে। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি আবেগপ্রবণ। ইংল্যান্ড সফরে এই রকম তীব্রতার মুহূর্তে তাঁকে অধিনায়কত্বে ভুল করতে দেখা গিয়েছে। বিশ্বকাপে শুধু তাঁর নয়, গোটা দলেরই ধোনির নিরুদ্বিগ্ন বরফ ঠান্ডা মাথাটা কিন্তু ভীষণ দরকার।
স্পিন পরামর্শদাতা
বিশ্বকাপ খেলা হবে ইংল্যান্ডে, যেখানে সিমাররা বেশি সুবিধা পান। কিন্তু ভারতের কুল-চা জুটি দেখিয়ে দিয়েছে, বিশ্বের যে কোনও দেসেই উইকেট থেকে তাঁরা স্পিন আদায় কতরতে পারেন। তাই আসন্ন বিশ্বকাপেও ভারতের সাফল্যে স্পিনারদের বড় ভূমিকা থাকবে। গত দুই বছরে কুলদীপ ও চাহালের এই দারুণ সাফল্য়ের পিছনে কিন্তু অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে ধোনিরও। অনেক সময় পরিস্থিতি, ব্য়াটসম্য়ানের উদ্দেশ্য আগাম আঁচ করে ধোনিকে দেখা যায় স্পিনারদের পরামর্শ দিয়ে ফাঁদ তৈরি করতে। যার মাধ্যমে বারত অনেক উইকেট তুলেছে। কাজেই ধোনি উইকেটের পিছনে থাকা মানে স্পিনাররা বাড়তি শক্তি নিয়ে নামবে।