অধিনায়ক হিসেবে আজকের দিনেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন ধোনি, বাকিটা ইতিহাস
অধিনায়ক হিসেবে আজকের দিনেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার হাত ধরে ১২ বছর আগে এই দিনেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত।
অধিনায়ক হিসেবে আজকের দিনেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার হাত ধরে ১২ বছর আগে এই দিনেই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ধোনির হাত ধরে মুহূর্তেই পাল্টে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের রুপরেখা!
|
অধিনায়ক ধোনির শুরুর পথ চলা
২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় ভারত। গ্রুপ পর্ব থেকেই সেবার বিদায় নিয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ইন্ডিয়া। সেই ধাক্কা কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ(২০০৭) ছিল ভারতের কাছে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
সৌরভ-সচিন- রাহুল দ্রাবিড়ের মতো সিনিয়াররা নতুন ফর্ম্যাটের এই বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন। যুবরাজ, সেহওয়াগ ও ধোনির মধ্যে ধোনিকেই অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচকরা বেছে নেন। জুনিয়রদের নিয়েই দল তৈরি করা হয়েছিল। সেই তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়েই বাজিমাত করেন ধোনি। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। অধিনায়ক হিসেবে আজদের দিনেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
|
অধিনায়ক ধোনির সাফল্য
টি-টোয়েন্টিতে সাফল্যের পরই ওডিআই ও টেস্ট ক্রিকেটে মাহির উপর ভরসা রাখেন নির্বাচকরা। এরপর ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা সময়। ২০১১ সালে ধোনির অধিনায়কত্বে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। এরপর ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে মাহির ক্যাপ্টেন্সিতেই ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারতীয় দল।
|
ভারত-পাক ফাইনাল ম্যাচের হাইলাইটস
ফাইনাল ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলেছিল ভারত। নীল জার্সিধারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেছিলেন গৌতম গম্ভীর। বাকিদের মধ্য়ে ছয় নম্বরে নেমে রোহিত শর্মা ৩০ রান করেছিলেন। জবাবে ম্যাচের ৩ বল বাকি থাকতে ১৫২ রানে পাকিস্তান অলআউট হয়েছিল।এক উইকেটের পুঁজি নিয়ে শেষ ওভারে পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিং করছিলেন মিসবা উল হক।
কঠিন পরিস্থিতে যোগেন্দর শর্মার হাতে শেষ ওভার ধরিয়েছিলেন ধোনি। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রোয়োজন ছিল ১৩ রান। এরপর হোয়াইড দিয়ে ওভার শুরু যোগিন্দরের। ৬ বলে সমীকরণ কমে দাঁড়ায় ১২। ওভারের প্রথম বলটা ডট করলেও দ্বিতীয় বলে মিসবা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। তৃতীয় বলে এরপর ফাইন লেগের উপর দিয়ে স্কুপ খেলতে গেলে শ্রীসন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফেরেন মিসবা। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ১৫২ রানে। ৫ রানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ভারত।