চেন্নাই গাঁট টপকাতে পারল না কলকাতা, চিপকে জলে গেল রাসেলের লড়াই
চেন্নাই সুপার কিংসকে চিপকে হারাতে ব্যর্থ হল কলকাতা নাইট রাইডার্স। লড়াই করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না আন্দ্রে রাসেল। ঘরের মাঠে অনায়াসে জিতে গেল চেন্নাই।
চেন্নাই সুপার কিংসকে চিপকে হারাতে ব্যর্থ হল কলকাতা নাইট রাইডার্স। লড়াই করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না আন্দ্রে রাসেল। ঘরের মাঠে অনায়াসে জিতে গেল চেন্নাই। এদিন কলকাতার ১০৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৬ বল বাকী থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে চেন্নাই। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে ফ্যাফ ডু প্লেসি।
টসে জিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি কলকাতাকে ব্যাট করতে পাঠান। দীনেশ কার্তিকের দল শুরু থেকেই উইকেট খোয়াতে শুরু করে। প্রথম ওভারে ক্রিস লিন (০) আউট হওয়ার পরের ওভারে সুনীল নারিন (৬) ফিরে যান। তারপর পরই ফেরেন নীতীশ রানা (০)।
রবীন উথাপ্পা ১১ রানে ফিরতেই ২৪ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে কলকাতা। সেখান থেকে দলকে ওপরে টেনে তোলার চেষ্টা শুরু করেন দীনেশ কার্তিক। মাঝে শুভমান গিল ৯ রানে ফিরে যাওয়ার পরে কার্তিক ১৯ রান করে আউট হন।
সাত নম্বরে নামা আন্দ্রে রাসেল শেষ অবধি টেল এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে দলকে একশো রান পার করান। ইনিংসের শেষ বলে নিজে অর্ধশতরান করেন। সবমিলিয়ে কেকেআর ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করে।
চেন্নাইয়ের হয়ে ফের একবার তিন স্পিনার হরভজন সিং (৪-১৫-২), রবীন্দ্র জাদেজা (৪-১৭-১) ও ইমরান তাহির (৪-২১-২) অনবদ্য বল করেন। এছাড়া দীপক চাহার ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই ধীরে খেললেও ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়নি। ওয়াটসন ১৭ করে ফিরে গেলেও সুরেশ রায়নাকে সঙ্গে নিয়ে ডু প্লেসি ইনিংস টানেন। রায়না ১৪ করে ফিরলে অম্বাতি রায়াডু সঙ্গ দেন। তিনি করেন ২১ রান। শেষে তিনিও আউট হলে কেদার যাদবকে (অপরাজিত ৮ রান) সঙ্গে নিয়ে ডু প্লেসি ম্যাচ শেষ করে ফেরেন। ১৬ বল বাকী থাকতে ম্যাচ জিতে ফের গ্রুপ শীর্ষে চলে গেল চেন্নাই। ৬ ম্যাচে ৫টি জিতে ১০ পয়েন্ট চেন্নাইয়ের। কলকাতা ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্টে আটকে থেকে গ্রুপ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে এল।