পরপর কেকে-হার, লাস্ট বয় রাজস্থানও ইডেনে হারিয়ে দিল কলকাতাকে
ফের একবার ঘরের মাঠে ম্যাচ হারল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ফের একবার ঘরের মাঠে ম্যাচ হারল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই নিয়ে পরপর ছটি ম্যাচ হারল দীনেশ কার্তিকের দল। লিগ টেবিলের টেবলের একেবারে শেষে থাকা দল রাজস্থান রয়্যালসও কলকাতাকে হারিয়ে ম্যাচ জিতে ২ পয়েন্ট বাড়ি নিয়ে গেল। রাজস্থান ৪ বল বাকী থাকতে এদিন ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে।
কলকাতার করা ১৭৫ রানের জবাবে রাজস্থান ৪ বল বাকী থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে। রাজস্থানের হয়ে অনবদ্য ব্যাটিং করেছেন মাত্র ১৭ বছর বয়সী রিয়ান পরাগ। তিনি ৩১ বলে ৪৭ রান করেন। এবং একেবারে শেষে মাত্র ১২ বলে অপরাজিত ২৭ রান করে ম্যাচ বের করে নিয়ে যান জোফ্রা আর্চার।
কলকাতার হয়ে দুই স্পিনার সুনীল নারিন ও পীযূষ চাওলা ছাড়া আর কোনও বোলার দাগ কাটতে পারেননি। কলকাতার পেস বোলাররা এদিন চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। যার ফলে একটা সময় রাজস্থানকে চাপে ফেললেও শেষ অবধি কলকাতা ম্যাচ বের করতে পারল না। এদিন হারের ফলে কলকাতা গ্রুপ টেবলে ৬ নম্বরে থাকলেও ১১ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট রইল সেই ৮। এবং এর ফলে প্লে-অফে ওঠার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেল।
এদিন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান। প্রথম ওভারেই ক্রিস লিন শূন্য রানে ফেরেন। এরপর আর এক ওপেনার শুভমান গিল ১৪ রানে ফেরেন। মিডল অর্ডারের নামা নীতীশ রানা ২১ ও সুনীল নারিন ১১ রান করেন। চার নম্বরে নামা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক এদিন ব্যাটিংয়ের হাল ফেরান। অনবদ্য ব্যাটসম্যানশিপে মাত্র ৫০ বলে অপরাজিত ৯৭ রান করেন। কার্তিকের রানের দৌলতে কলকাতা ছয় উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার শেষে ১৭৫ রান তোলে। আন্দ্রে রাসেল করেন ১৪ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান দারুণ শুরু করে দুই ওপেনার অজিঙ্ক রাহানে ও সঞ্জু স্যামসন। রাহানে ৩৪ ও স্যামসন ২২ রান করেন। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ফিরলেও ১৭ বছর বয়সী রিয়ান ম্যাচের হাল ধরেন। তিনি এক দিক ধরে থাকলেও অন্য দিক থেকে বেন স্টোকস (১১ রান), স্টুয়ার্ট বিনি (১১ রান), শ্রেয়স গোপাল (১৮ রান) একে একে ফেরত যান।
একটা সময় মনে হচ্ছিল কলকাতা ম্যাচ বের করে নেবে। তবে শেষ দিকে জোফ্রা আর্চারকে সঙ্গে নিয়ে রিয়ান অসাধারণভাবে রাজস্থানকে ম্যাচে ফেরত আনেন। একেবারে শেষে তিনি হিট উইকেট আউট হয়ে গেলেও জোফ্রা আর্চার ৪ বল বাকী থাকতে রাজস্থানকে জিতিয়ে দেন। এই জয়ের ফলে রাজস্থান ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেল। ৮ নম্বর থেকে ৭ নম্বরে উঠে এল। অন্যদিকে কেকেআর ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে থাকল।