সেরা বোলার বনাম বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান! নিজামের শহরের তফাত গড়ে দিতে পারে যে চার লড়াই
রাজস্থান রয়্যালস বনাম সানরাইজার্স হায়দাবাদ, আইপিএল ২০১৯ ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে এমন ৪ টি প্রধান খেলোয়াড় ব্যাক্তিগত লড়াই।
শুক্রবার হায়দরাবাদে আইপিএল-এর অষ্টম ম্য়াচে মুখোমুখি হচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্য়ালস। দুটি দলই পরাজয় দিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করেছে। ইডেনে শেষ তিন ওভারে কেকেআর-এর বিরুদ্ধে হেরেছে সানরাইজার্স। আর কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নিজেদের ঘরের মাঠে মানকাড়িয় পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের মধ্যে হেরেছে রাজস্থান রয়্যালস-ও।
দুই দলেই তারকার কোনও অভাব নেই। হায়দরাবাদের দলে রয়েছেন ওয়ার্নার, উইলিয়ামসন, সাকিব, ভূবি, রশিদ খান-রা। আবার প্রতিপক্ষ শিবিরে রয়েছে রাহানে, বাটলার, স্মিথ, বেন স্টোকস, জোফ্রা আর্চার, জয়দেব উনাদকাট-রা। মূল ম্য়াচের পাশাপাশি এই তারকাদের ব্যক্তি প্রতিভার প্রতিদ্বন্দ্বিতাও চলবে। দেখে নেওয়া যাক এরকমই চারটি লড়াই, যা এই ম্য়াচের ভবিষ্যত ঠিক করে দিতে পারে।
ওয়ার্নার বনাম উনাদকাট
এক বছর পর আইপিএল গ্রহে ফিরে প্রথম ম্যাচেই ওয়ার্নার ৫৩ বলে ৮৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন। তবে কেকেআর-এর হাতে একটা অস্ত্র ছিল না যা রাজস্থান রয়্যালসের আছে। বাঁহাতি জোরে বোলার জয়দেব উনাদকাট। বাঁহাতি ব্য়াটসম্য়ানদের ক্ষেত্রে বাঁহাতি বোলারদের অ্যাঙ্গেলটা খেলা অনেকসময়ই কঠিন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে উনাদকাট গতির হেরফের ঘটান দারুণভাবে। হায়দরাবাদ ইনিংসের শুরুতে এই দুই বাঁহাতির লড়াই ম্য়াচের নিরিখে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দুই অলরাউন্ডারে ধুন্ধুমার
টি২০-তে অলরাউন্ডারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর দুই দলের এই দুই সেরা অলরাউন্ডারের দ্বৈরথ চলবে দুই ইনিংস ধরেই। দুজনেই ব্য়াট করতে নামেন সাধারণত ১০ থেকে ২০ ওভারের মধ্যে। আবার নিজেদের শেষ বোলিং স্পেল করতে আসেন ইনিংসের শেষেই। কাজেই ব্যাটে-বলে এঁদের লড়াইয়ে কে জিতবেন, তা কিন্তু বড় ফারাক গড়ে দেবে।
রশিদ খান বনাম জস বাটলার
টি২০ ক্রিকেটের সেরা বোলার রশিদ খান। আর সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বিস্ফোরক ব্য়াটসম্য়ানদের একজন বাটলার। এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মেও আছেন। ফলে এই দুজনের লড়াই ম্য়াচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই খুবই উপভোগ্যও হয়ে উঠতে পারে। গত মরসুমে কিন্তু দুই ম্য়াচেই বাটলারকে অল্প রানে আউট করেছিলেন আফগান স্পিনার।
অন্য লড়াই
এই লড়াই আগের তিন লড়াইয়ের মতো সম্মুখ সমর নয়। তবে দুই দলেরই অন্যতম শক্তি গত একবছর নির্বাসিত থাকা দুই অস্ট্রেলিয়। তাদের পারফরম্যান্সের উপর অনেকটাই নির্ভর করে তাদের দলের সাফল্য। প্রথম ম্যাচেই ওয়ার্নার দারুণ সফল হলেও স্মিথ সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এই ম্যাচে কে কাকে ছাপিয়ে যান, সেটাই দেখার।