অনবদ্য পৃথ্বী শ, একাই ম্যাচ বের করে নিয়ে গেলেন সৌরভের দিল্লির জন্য
রবীন উথাপ্পা ও দীনেশ কার্তিক মিলে শেষ ৩ বলে আর ৭ রান তুলতে পারেননি। ফলে ৩ রানে ম্যাচ জিতে যায় দিল্লি।
নার্ভাস নাইন্টিস। নব্বই রানের ঘরে এক মুম্বইকর বহুবার আউট হয়েছেন। তিনি সচিন তেন্ডুলকর। যখন খেলতেন, নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছলেই অনেক ম্যাচে সতর্ক ব্যাটিং করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এদিন কলকাতার বিপক্ষে ম্যাচে আর এক মুম্বইকর নার্ভাস নাইন্টিস এর গেরোয় আটকে পড়লেন।
তিনি পৃথ্বী শ। ৯৯ রানের মাথায় লকি ফার্গুসনের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ফিরে গেলেন শতরান ছাতছাড়া করে। শেষ অবধি ১৮ বলে ১৮ রান করতে না পেরে দিল্লি ম্যাচ নিয়ে গেল সুপার ওভারে। তবে শেষ অবধি তিন রানে জিতে নিল ম্যাচ।
এদিন দিল্লি টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কলকাতার হৃদকম্পন বাড়িয়ে ৪৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। চোটগ্রস্ত সুনীল নারিনের জায়গায় খেলতে নামা নিখিল নায়েক ৭ রান করে ফেরেন। ক্রিস লিন করেন ২০ রান। তিন নম্বরে নামা রবীন উথাপ্পা ১১ রান ও আগের ম্যাচের অন্যতম নায়ক নীতীশ রানা করেন ১ রান।
এই অবস্থা থেকে খেলা ধরেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। শুভমান গিল মাঝে ৪ রানে ফিরে গিয়েছেন। কলকাতার রান তখন ৬৪ রানে ৫ উইকেট। নামেন আন্দ্রে রাসেল। সেখান থেকে খেলা ধরে কলকাতা। কার্তিক ৩৬ বলে ৫০ রান ও আন্দ্রে রাসেল ২৮ বলে ৬২ রানে বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। সবমিলিয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে কলকাতা ১৮৫ রান তোলে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করে। পৃথ্বী শ-র আগে শিখর ধাওয়ান হাত খুলে খেলতে গিয়ে ৮ বলে ১৬ রান করে ফেরেন। এরপরে শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে পৃথ্বী খেলা ধরেন। শ্রেয়স ৪৩ রানে ফিরে গেলেও পৃথ্বী অনবদ্য ৯৯ রান করে ফেরেন।
এদিন শেষদিকে ঋষভ পন্থ (১১) ও কলিন ইনগ্রাম (১০) সুবিধে করতে না পারায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। তবে প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ১০ রান করে। কলকাতা ১১ রান তুলতে গিয়ে ৩ রানে ম্যাচ হারে।
দিল্লির হয়ে কাগিসো রাবাদা অনবদ্য বল করেন। প্রথম বলে রাসেল ৪ মারলেও পরের দুটি বিষাক্ত ইয়র্কার করেন রাবাদা। তৃতীয় বলে রাসেলের স্টাম্প ছিটকে যায়। পরে রবীন উথাপ্পা ও দীনেশ কার্তিক মিলে শেষ ৩ বলে আর ৭ রান তুলতে পারেননি। ফলে ৩ রানে ম্যাচ জিতে যায় দিল্লি।