জাতীয় দলের দুই খেলোয়াড়ের দুই বড় ইনিংস! তারপরেও অল্প রানেই গুটিয়ে গেল অবশিষ্ট ভারত
হনুমা বিহারি শতরান ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৯৫ রান করলেও রঞ্জি বিজয়ী বিদর্ভ ইরানি কাপের প্রথম দিনে ৩৩০ রানেই বেঁধে রাখল অবশিষ্ট ভারতের ইনিংস।
ইরানি কাপের প্রথম দিনে রঞ্জি বিজয়ী বিদর্ভের বিরুদ্ধে অবশিষ্ট ভারতের হয়ে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ১২৫ রান যোগ করলেন জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার হনুমা বিহারি (১১৪) ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৯৫)। কিন্তু তারপরেও মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ায় তাদের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ৩৩০ রানেই। ৯৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন রঞ্জি ফাইনালের নায়ক আদিত্য সারাওয়াতে।
এদিন হনুমা ও মায়াঙ্কের ইনিংস দুটি ছিল অবশ্য একেবারেই ভিন্নধর্মী। একদিনকে হনুমা ২১১ টি বল নিলেন ১১৪ রান করতে। মারলেন ১১টি চার ও ২টি ছয়। অপরদিকে ১০টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে মায়াঙ্কের ৯৫ রান এল মাত্র ১৩৪ বলে। অউফসাইডে ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে নিয়েছেন, আর প্যাডের উপর বল পেলেই চালিয়েছেন।
এঁরা দুইজয় রান পেলেও ভারতের লাল বলের ক্রিকেট দলের সহঅধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানের স্পিনের বিরুদ্ধে সমস্যা রয়েই গেল। এদিনও মাত্র ১৩ রান করেই সারাওয়াতের বলে আউট হলেন তিনি।
রঞ্জি ফাইনালে দুই ইনিংসে দুইবার পূজারাকে আউট করার পর ইরানি কাপের প্রথম দিনই রাহানেকে ফিরিয়ে দিয়ে মুকুটে আরও এক পালক যোগ করলেন বিদর্ভের স্পিনার। এদিন তাঁকে যোগ্য সহায়তা করলেন অপর বিদর্ভ দুই স্পিনার অক্ষয় কার্নেওয়ার (৪৫-১) ও অক্ষয় ওয়াখারে (৬৭-৩)।
রাহানে আউট হতেই ধস নামে অবশিষ্ট ভারতের মিডল অর্ডারে। শ্রেয়ষ আইয়ার (১৯) ও ইশান কিশান (২) দুজনেই ব্যর্থ হন। ২৩১-৩ থেকে এক ধাক্কায় ২৫৮-৭ হয়ে যায় স্কোর। অপরদিকে অবশ্য নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন বিহারি। এদিন তাঁর ১৬তম প্রথমশ্রেণীর শতরানটি করে যান তিনি। তাঁর জন্যই দলের রান ৩০০ পার করে। তবে শতরানের পর তিনিও সারাওয়াতের শিকার হন।