মনে হচ্ছে আমি আর সচিন শত্রু হয়ে গিয়েছি : বিনোদ কাম্বলি
কিন্তু হঠাৎ এমন মন্তব্য কেন? উত্তরটা স্বাভাবিক। সচিনের বিদায়ী বক্তৃতায় ঘরে-বাইরের কাছে-দূরের একাধিক মানুষের নাম থাকলেও বিনোধ কাম্বলির নামটা পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি সচিন। এমনকি আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সচিনের তারকাখচিত ফেয়ারওয়েল পার্টিতেও। সব দেখে শুনেই এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন কাম্বলি।
সচিন একটা ফোন করলেই আমরা আবার বন্ধু হতে পারি : কাম্বলি
বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। বছর দুয়েক আগে টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠানে কাম্বলি বলেছিলেন, প্রয়োজনের সময় সচিনের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি তিনি। ক্রিকেট মহলের ধারণা এর পর থেকেই সম্পর্ক আরও খারাপ হতে শুরু করে।
এদিন টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে এসে কয়েকটি বিষয়ে সচিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কাম্বলি। বলেন, বিদায়ী বক্তৃতায় সচিন সবার নাম নিয়েছিল, শুধু একজনকে ভুলে গিয়েছিল, সেটা আমি। এটা ঠিক হয়নি। আমাকে ওর মনে রাখা উচিত ছিল। সচিনের ক্রিকেট কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট কিন্তু আমার সঙ্গে ৬৬৪ রানের ওই বিশ্বরেকর্ড পার্টনারশিপটাই। ওই জুটিটা না হলে কে সচিন লোকে জানত না।" একইসঙ্গে পার্টিতে তাঁকে ডাকা না নিয়ে কাম্বলির বক্তব্য, "প্রথমে ভেবেছিলাম, বক্তৃতায় আমার নামটা বলতে ভুলে গিয়েছে সচিন। পার্টিতে নিশ্চয় ডাকবে। কিন্তু আমাকে বা আমার পরিবারকে সেখানেও ডাকেনি। এটা আমায় সবচেয়ে বেশি আঘাত দিয়েছে।"
যদিও পরমুহূর্তেই কাম্বলির আক্ষেপ, "সাতবছর ধরে সচিনের গলা শুনিনি। শুধুমাত্র কয়েকটা টেক্সট ম্যাসেজ চালাচালি হয়েছে। সচিনের সঙ্গে এই দূরত্বটা আমাকে খুবই কষ্ট দেয়।" পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন,সচিনের বিদায়ী ম্যাচে তাঁর চোখে জল দেখে নিজের আবেগও আটকাতে পারেননি তিনি, কেঁদে ফেলছিলেন।
সচিনের সঙ্গে আবার বন্দুত্ব হয়ে উঠতে পারে তাঁর। এ আশায় এখনও বুক বেঁধে রয়েছেন কাম্বলি। জানিয়েছেন, বন্ধু হিসাবে, খেলোয়াড় হিসাবে সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছি। ওঁর পিছনে কখনও কোনও বাজে কথা আমি বলিনি। সচিন যদি একটা ফোন করে, আমরা আবার বন্ধু হতে পারি। আপনারা তাহলে আমাকে আবার সচিনের পাশেই দেখতে পারবেন।"