ভারতীয় ক্রিকেটের পট পরিবর্তন হয়েছিল কপিলের নেতৃত্বে, ৮৩-র ফাইনাল যেন রূপকথা
প্রথম দুই বিশ্বকাপই ঘরে তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন ক্রিকেট মানেই ক্যারিবিয়ান দাপট। তৃতীয় বিশ্বকাপের ফাইনালে কি না সেই ক্যারিবিান দৈত্যদের সামনেই ভারত।
প্রথম দুই বিশ্বকাপই ঘরে তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন ক্রিকেট মানেই ক্যারিবিয়ান দাপট। তৃতীয় বিশ্বকাপের ফাইনালে কি না সেই ক্যারিবিান দৈত্যদের সামনেই ভারত। অতি বড় সমর্থকও আশা করেননি ভারত সেবার বিশ্বকাপ জিততে পারে। তাও ক্যারিবিয়ানদের সামনে মাত্র ১৮৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল ভারত। সেই স্বল্প রানের পুঁজি নিয়েও যেভাবে ভারত নিজেদেরকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে গিয়েছিল, তা আজও মিথ হয়ে আছে।
ইংল্যান্ডে আয়োজিত তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের হ্যাটট্রিক করতে চলেছে, এমন ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণিত করে সেবার কপিল দেবের হাতে উঠেছিল কাপ। ইতিহাস গড়েছিল ভারত। এই ১৯৮৩-র বিশ্বকাপে নবাগত জিম্বাবোয়ের কাছে হেরেই বিদায় নিতে বসেছিল ভারত। সেখান থেকে বিশ্বকাপ জয়।
মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছিল ভারত। তারপর কপিল দেবের সেই ঐতিহাসিক ইনিংস। দলের ১৭ রানের মাথায় ক্রিজে নেমে তিনি ১৭৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। তারপর পুরোটাই ইতিহাস। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। উল্টোদিকে ওয়েস্টইন্ডিজ বনাম পাকিস্তান। অর্থাৎ ভারত-পাকিস্তান ফাইলান হওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা ছিল সেবার।
কিন্তু তা হয়নি। ভারত ইংল্যান্ডের বাধা টপকালেও পাকিস্তান পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছতেই। ফেভারিট টিম হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৌঁছে গিয়েছিল ফাইনালে। পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ক্যারিবিয়াননা টানা তৃতীয় বার বিশ্বকাপের ফাইনালে।
আর ভারত যখন ১৮৩ রানে গুটিয়ে গেল, তখনও কোনও ক্রিকেট বোদ্ধা ভাবেননি ইতিহাস হতে চলেছে সেদিনই। আগের ম্যাচেই পাকিস্তানের ১৮৪ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আট উইকেটে রান তুলে নেয়। তাই ভারতের ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জও ফুৎকারে উড়ে যাবে বলেই ভেবেছিল সবাই। কিন্তু কপিল দেব অন্যরকম ভেবেছিলেন। ইতিহাস লিখেছিলেন ভারতের ক্রিকেট-সংগ্রামে।