কপিল থেকে ধোনি, ভারতীয় ক্রিকেটের কয়েকটি স্মরণীয় ছক্কার দিকে নজর ফেরানো যাক
কপিল থেকে ধোনি, ভারতীয় ক্রিকেটের কয়েকটি স্মরণীয় ছক্কার দিকে নজর ফেরানো যাক
করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্রিকেট। স্থগিত করা হয়েছে আইপিএল। তাতে হতাশ না হয়ে বরং চোখ ফেরানো যাক ভারতীয় ক্রিকেটের কিছু স্মরণীয় ছক্কার দিকে। কপলি দেব থেকে শুরু করে মহেন্দ্র সিং ধোনি, সংখ্যাটা মোটেই কম নয়।
কপিল দেব
মহম্মদ আজহারউদ্দিন ও রবি শাস্ত্রীর শতরান সত্ত্বেও ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডস টেস্টে ফলো-অন খাওয়ার মুখে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। অর্ধ শতরান করে ক্রিজে অপরাজিত থাকা লেজেন্ড কপিল দেব ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্পিনার এডি হেমিংসের ওভারের পরপর চারটি ছক্কা মেরে দেশের জন্য ফলো-অন বাঁচিয়েছিলেন।
সচিন তেন্ডুলকর
২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারত। আগে ব্যাট করে ভারতকে ২৭৪ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় ওপেনার সচিন তেন্ডুলকর ও পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের মধ্যে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলে আশা করেছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। কিন্তু ১৫১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ছুটে আসা শোয়েবের প্রথম বলেই আপার কাটের মাধ্যমে ছক্কা হাঁকিয়ে প্রতিপক্ষের ছন্দ কেটে দিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।
|
যুবরাজ সিং
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অতি গুরুত্বপূ্র্ণ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারত। সেই ম্যাচে ভারতীয় অল রাউন্ডার যুবরাজ সিং-কে স্লেজ করেছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ। কার্যত সেই রাগ মেটাতে ব্রিটিশ ফাস্ট বোলার স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন যুবি।
|
মহেন্দ্র সিং ধোনি
২০১১ সালে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তাও আবার দেশের মাটিতে। মুম্বই-র ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ছক্কা হাঁকিয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওই ম্যাচ জিতিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই শট ইতিহাসের পাতায় জায়গা পেয়েছে।
আরও বেশ কিছু
১) নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতীয় উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিকের ব্যাট থেকে আসা জয়সূচক ছক্কা।
২) ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার অ্যান্ড্রু ক্যাডিককে ছক্কা হাঁকিয়ে বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
৩) শারজাহ-তে স্টেডিয়াম পার করে দেওয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক ছক্কা।