বলে লালার ব্যবহার বন্ধ করতে অনুশীলন প্রয়োজন বলে মনে করেন ভারতীয় স্পিনার
বলে লালার ব্যবহার বন্ধ করতে অনুশীলন প্রয়োজন বলে মনে করেন ভারতীয় স্পিনার
করোনা ভাইরাসের প্রভাব থেকে বাঁচার তাগিদে ক্রিকেট বলে লালার ব্যবহার বন্ধ করতে অনুশীলন প্রয়োজন বলে মনে করেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে এই অনুশীলন করতে তৈরি বলে জানিয়েছেন রবি। তাঁর কথায়, বলে লালা লাগানো এক অভ্যাস। তা থেকে বেরিয়ে আসাটা প্রয়োজন বলে মনে করেন অ্যাশ।
ক্রিকেটে লালার ব্যবহার
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের শরীরের শ্লেষ্মা এবং লালা থেকেই অপর কোনও ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে মারণ করোনা ভাইরাস। সেক্ষেত্র ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আইসিসি যে কড়া হতে চলেছে, সে খবর আগেই পাওয়া যাচ্ছিল। এখনও পর্যন্ত যা খবর, সেই সিদ্ধান্তই কার্যকর হতে চলেছে।
ক্রিকেট কমিটির সিদ্ধান্ত
গত সোমবার এই ইস্যুতে বৈঠকে বসেছিল লেজেন্ড অনিল কুম্বলে নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। ভিডিও কনফারেন্সিং-র মাধ্যমে হওয়া ওই বৈঠকে ক্রিকেট বল চকচকে করতে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ক্রিকেটাররা বিকল্প হিসেবে ঘাম ব্যবহার করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। নিজেদের সিদ্ধান্ত আইসিসি-র শীর্ষ পদাধিকারিদের কাছে পাঠিয়েছে অনিল কুম্বলে নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটি।
অশ্বিনের পর্যবেক্ষণ
ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের পর্যবেক্ষণ, লালা ব্যবহার করে ক্রিকেট বল চকচকে করাটা খেলোয়াড়দের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সেই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দীর্ঘ অনুশীলন প্রয়োজন। একমাত্র ধৈর্য্যের মাধ্যমেই এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন অ্যাশ। তাঁর কথায়, এই অভ্যাস যে খারাপ, তা ক্রিকেটারদের শরীর, মন, রন্ধ্রে প্রবেশ করানো প্রয়োজন।
সামাজিক দূরত্ব
করোনা পরবর্তী যুগে ক্রিকেট শুরু হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে দুর্দান্ত পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। তাঁর কথায়, ক্রিকেট মাঠে সামাজিক দূরত্ব আগেও মেনে চলা হত। সত্তর এবং আশির দশকের ক্রিকেট ম্যাচে ক্রিকেটাররা আউটের সেলিব্রেশনও একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে করতেন বলে জানিয়েছেন অশ্বিন। সেই অভ্যাস ফের চালু হওয়া উচিত বলে মনে করেন অ্যাশ।