রুবেলের শোকে এবার ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার ব্যর্থ চেষ্টা হ্যাপির
ঢাকা, ১২ মার্চ : ভালোবাসার শোক কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। আর তাই নিজের ভালোবাসার মানুষকে মাফ করেই আত্মহননের পথ বেছে নিতে গেছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা নাজনিন আখতার হ্যাপি!
গতকাল জানা গিয়েছিল, বিশ্বকাপের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পেস বোলার রুবেল হোসেন ভালো পারফরমেন্স করার পর শোনা যায় যে একসময়ের প্রেমিকা হ্যাপি তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরপর কাল রাতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে আজ জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হ্যাপি। রাতের দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মিরপুরে এক চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ফের অন্যত্র বদলি করা হয় হ্যাপিকে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৮ টা নাগাদ হ্যাপি ঘুমের ওষুধ খান। সেইসময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তার ঠিক ২০ মিনিট বাদে স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট দেন তিনি যেখানে আত্মহননের কথাই তিনি উল্লেখ করেন।
নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রাক্তন প্রেমিক তথা বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন এবং নিজের বাবা-মা-কে উদ্দেশ্য করে হ্যাপি লেখেন "আমি বড়ই দুর্ভাগা। শেষ কথাটাও তোমাকে বলতে পারলাম না। অনেক ভালবাসি বাবু, কোনও ভুল করলে মাফ করে দিও। আম্মু-আব্বু তোমরাও মাফ করে দিও, আমি তোমাদের যোগ্য সন্তান হতে পারলাম না। আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছ তোমরা। এর ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। এটাই আমার শেষ স্ট্যাটাস। বাবু, তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করবে এটা দেখা আমার পক্ষে সম্ভব হল না। ফিলিং লস্ট।"
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপের মাসখানেক আগে অভিযোগ ওঠে যে ১৯ বছর বয়সী অভিনেত্রী তথা মডেল নাজনিন আখতার হ্যাপির সঙ্গে রুবেল শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। 'কিছু আশা কিছু ভালোবাসা'-তে অভিনয় করার সুবাদে হ্যাপি বাংলাদেশের ঘরে-ঘরে এখন পরিচিত নাম। তাই হ্যাপি ও রুবেলের এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায় সারা দেশে।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগ হ্যাপি বলেন, ঢাকায় রুবেলের ফাঁকা ফ্ল্যাটে দিনের পর পর দিন তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। রুবেলের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রুবেল তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলেও পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে হয়েছে বলে দাবি করেন হ্যাপি।