অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত: পার্থের প্রাণবন্ত উইকেটে নার্ভাস নই, উত্তেজিত! আর কী বললেন বিরাট
বিরাট কোহলি বলেছেন যে পার্থের প্রাণবন্ত পিচ দেখে ভারতীয়রা নার্ভাস নন বরং উত্তেজিত।
মাঠের থেকে পিচ আলাদাই করা যাচ্ছে না। এটচাই সবুজ পার্থ-এর নতুন 'অপ্টাস' স্টেডিয়ামের পিচ। প্রথম টেস্টে হারের পর নিজেদের শক্তি, পেস বোলিংকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলতে পার্থের পিচে যতটা সম্ভব পেস ও বাউন্স রেখেছেন কিউরেটর ব্রেট সিপথর্প। অথচ পিচ দেখার পর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহির মুখে চওড়া হাসি দেখা গেল।
তিনি সাফ জানিয়েছেন পিচ দেখে তাঁরা নার্ভাস নন মোটেই বরং অস্ট্রেলিয়া বধের সম্ভাবনায় উত্তেজিত! তাঁর কথাতেই পরিষ্কার দলের জোরে বোলিং বিভাগের উপর তিনি কতটা আস্থাশীল। তিনি জানিয়েছেন, হাতে একটা দুর্দান্ত জোরে বোলিং আক্রমণ থাকলে ব্য়াটসম্য়ানরাও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলতে পারেন। পার্থ টেস্ট শুরু হওয়ার আগের দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আর কী বললেন বিরাট দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
ভারতের জোরে বোলিং বিভাগ
জানিয়েছেন আগে হলে হয়ত তাঁরা এরকম পিচ দেখে নার্ভাস হয়ে পড়তেন। কিন্তু তাঁদের হাতে এখন যে জোরে বোলিং আক্রমণ আছে, তারা প্রত্যেক ম্য়াচে প্রতিপক্ষের ২০টি উইকেট তুলতে সক্ষম। তাই এখন এইরকম প্রাণবন্ত উইকেট দেখলে তাঁদের উত্তেজনা বেশি হয়। আর বোলাররা প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করতে সক্ষম জানলে ব্যাটসম্যানরাও অনেক বেশি খোলা মনে ব্য়াট করতে পারেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁরা একটি-দুটি টেস্ট নয়, সিরিজ জিততে চান। তাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই প্রধান লক্ষ্য।
সমান-সমান সুযোগ
বিরাট জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রিকেট খেললেও পার্থের মতো প্রাণবন্ত উইকেট কোথাও পাননি। এমনকী জোহানেসবার্গের সবুজ উইকেটও এরকম ছিল না। তবে এরকম উউইকেটে খেলার আগের অভিজ্ঞতা তাঁদের আছে। আর যদি ঘাস ছাঁটা না হয়, তাহলে অন্তত প্রথম তিনদিন উিকেট ভাঙবে না। ফলে দুই দলের কাছেই সমান সুযোগ থাকবে ম্য়াচ জেতার। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর দলের ব্যাটাররা এরকম উইকেটে খেলার চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসেন। আর বাকি কাজটা সারবেন তাঁদের পেসাররা।
ইশান্ত শর্মা এবং নো বল
অ্যাডিলেডে বেশ কয়েকটি নো বল করেছিলেন ইশান্ত শর্মা। বিরাট জানিয়েছেন, ম্য়াচের পর এই নিয়ে দলের মধ্যে কথা হয়েছে। ইশান্ত যেরকম দায়িত্বশীল ক্রিকেটার তাতে তিনি এই ত্রুটি অবশ্যই কাটিয়ে উঠবেন। এনিয়ে তিনি চিন্তিত নন বলেই দাবি করেছেন বিরাট।
ডিআরএস
অ্যাডিলেড টেস্টে হারের পর ডিআরএস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অজি অধিনায়ক টিম পেইন। কিন্তু কোহলি জানিয়েছেন ডিআরএস নিয়ে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। এর ভাল খারাপ দুই দিকই রয়েছে। কখনও কখনও ডিআরএস ভুল করে ঠিকই। কিন্তু তাঁর মতে কোনও বিষয়ই সম্পূর্ণ ত্রুটি মুক্ত হয় না। ডিআইর এস থাকায় অন্তত ব্য়াটিং বা ফিল্ডিং-এর সময় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ থাকে।