#WT20 স্পেশাল : বিশ্ব ক্রিকেটের অবিস্মরণীয় কয়েকটি রেকর্ড
বিশ্ব ক্রিকেটে প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়া হয় বা ভাঙা হয়। এমন চলতেই থাকে। তবে কিছু রেকর্ড এমন রয়েছে যা এককথায় অবিস্মরণীয়। যা সম্পর্কে শুনলে চমকে ওঠা ছাড়া উপায় থাকে না।
একদিনের ক্রিকেটে ধোনির রেকর্ডের লিস্ট
সৌরভের অবিস্মরণীয় রেকর্ড লিস্ট
আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ভারতের রেকর্ড
যেমন ধরুন, কোন ব্যাটসম্যান কোনওদিনও শূন্য রানে আউট হননি? একদিনের ক্রিকেটে কে সবচেয়ে বেশিবার নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন? কে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বল খেলেছেন? মাত্র ১৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে কোন ক্রিকেটারের? এমনই কয়েকটি অজানা ক্রিকেটীয় রেকর্ড একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন নিচের স্লাইডগুলিতে।
নব্বইয়ের ঘরে সবচেয়ে বেশি আউট
বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক ১০০টি শতরানের মালিক শচীন তেন্ডুলকর একদিনের ম্যাচে ৪৯টি শতরান করেছেন। তবে জানেন কি, এই শচীনই 'নার্ভাস নাইন্টি'-র ঘরে গিয়ে আউট হয়েছেন সবচেয়ে বেশি মোট ১৮ বার।
রাহুল দ্রাবিড়
টেস্টে বিপক্ষ দলের বোলারদের নিজের ব্যাটসম্যানশিপ দিয়ে কাবু করে ফেলা একদা ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড় টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৩১২৫৮টি বল খেলেছেন। এরপরে রয়েছেন শচীন। তিনি খেলেছেন ২৯৪৩৭টি বল। সাধে রাহুলকে আউট করতে বিরক্ত হয়ে যেতেন বিপক্ষ দলের বোলাররা!
কেপলার ওয়েসেলস
ক্রিকেট ইতিহাসে কেপলার ওয়েসেলস একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি কখনও শূন্য রানে আউট হননি। তিনি মোট ১০৯টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। অথচ কখনও তাঁকে শূন্য রানে ফেরাতে পারেননি বিপক্ষ বোলাররা।
মহেন্দ্র সিং ধোনি
অধিনায়ক হিসাবে ২০০টি ছয় মারার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ধোনি। যা আর কোনও অধিনায়কের নেই।
জিমি ম্যাথিউজ
অস্ট্রেলীয় লেগ স্পিনার জিমি ম্যাথিউজ ১৯১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে খেলা টেস্টে দুটি ইনিংসেই হ্যাটট্রিক করেন। এই কৃতিত্ব আজ পর্যন্ত কেউ ছুঁতে পারেননি।
বিরাট কোহলি
বিশ্ব ক্রিকেটের এই মুহূর্তের সেরা ব্যাটসম্য়ান বিরাট কোহলি একমাত্র ব্যাসম্যান যার টি২০তে ৫০-এর বেশি গড়। যা বিশ্বের আর কারও নেই। বিরাটের গড় ৫৫.৪২।
অজিঙ্ক রাহানে
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৪ অগাস্ট উইকেটকিপার না হয়েও একটি ম্যাচে ৮টি ক্যাচ ধরেছেন।
বাপু নাদকার্নি
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে একটি ম্যাচে বাপু নাদকার্নি ৩২ ওভার বল করে ২৭টি মেডেন সহ মাত্র ৫ রান দেন। ইকোনমি রেট ছিল ০.১৫ যা আর কেই কোনওদিন করে দেখাতে পারেননি।
শাহিদ আফ্রিদি
১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাত্র ১৬ বছর ২১৭দিন বয়সে শতরান করেন বুম বুম আফ্রিদি। এত কম বয়সে আর কেউ বিশ্ব ক্রিকেটে শতরান করতে পারেননি।
জাক কালিস
টেস্টে মোট ২৩ বার ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন জাক কালিস। যে রেকর্ড আর কারও নেই।
ট্রেভর বেইলি
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৫৭ মিনিট ব্যাট করে ৩৫০ বল খেলে অর্ধশতরান করেন ইংল্যান্ডের বেইলি। যা টেস্টের সর্বকালের ধীরগতির অর্ধশতরান। যদিও ম্যাচ জেতে সেই অস্ট্রেলিয়াই।
টিম অস্ট্রেলিয়া
দল হিসাবে বরাবরই অস্ট্রেলিয়া অপ্রতিরোধ্য। টানা ২১টি একদিনের ম্যাচ জেতার রেকর্ড রয়েছে তাদের দখলে। ২০০৩ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২০০৩ সালের ২৪ মে পর্যন্ত সময়ে খেলে এই রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
গ্রেম স্মিথ
অধিনায়ক হিসাবে ১০৯টি টেস্ট খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেম স্মিথ যা সর্বকালীন রেকর্ড। এরপরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বর্ডার। মোট ৯৩টি ম্যাচে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দেন।
লাসিথ মালিঙ্গা
বিশ্বের একমাত্র বোলার হিসাবে একদিনের ম্যাচে পরপর চারটি বলে উইকেট নিয়েছেন মালিঙ্গা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে এই রেকর্ড করেন তিনি।
কোর্টনি ওয়ালশ
নিজের কেরিয়ারে মোট ৪৩ বার শূন্য রানে আউট হয়ে রেকর্ড গড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশ।
হাসান রাজা
১৯৯৬ সালে মাত্র ১৪ বছর ২৩৩ দিন বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামেন হাসান রাজা।
জিম লেকার
ইংরেজ অফস্পিনার জিম লেকার একটি টেস্টে সর্বাধিক ১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন। যে রেকর্ড আজও অক্ষত।
ওয়াসিম আক্রম
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে শেখুপুরাতে ২৫৭ রানের ইনিংস খেলেন আক্রম। সেই ইনিংসে রেকর্ড সংখ্যক ১২টি ছয় মারেন তিনি।
হার্শেল গিবস
বিশ্বখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ৪৩৪ রান তাড়া করতে গিয়ে ম্যাচ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচে এক ওভারে ৩৬ রান করেন গিবস। একদিনের ক্রিকেটে যে রেকর্ড আজও অক্ষত।
এবি ডিভিলিয়ার্স
একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম অর্ধশতরান, শতরান ও দেড়শো রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডিভিলিয়ার্সের।