করোনা আতঙ্কে সামাজিক দূরত্ব ভূলে বুন্দেসলিগায় গোল সেলিব্রশেনে চুমু!
করোনা আতঙ্কে সামাজিক দূরত্ব ভূলে বুন্দেসলিগায় গোল সেলিব্রশেনে চুমু!
করোনার চোখরাঙানির মাঝে ফুটবল ফিরেছে ইউরোপে। শনিবার থেকে বুন্দেসলিগার ফুটবলযজ্ঞ শুরু! মারণ ভাইরাসের আতঙ্ক কাটিয়ে ইউরোপে ফুটবলের দামামা বেজে গিয়েছে। হতাশা কাটিয়ে টিভির পর্দায় প্রাণের ফুটবল দ্বৈরথ দেখায় মজেছেন ফ্যানেদের। ভাইরাস আতঙ্কের মাঝে ফুটবল শুরু হলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না।
কেন বিতর্ক
ইউরোপের বুন্দেসলিগা শুরুর অন্যতম শর্ত ছিল সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। খেলার সময় বাদ দিয়ে গোল সেলিব্রেশেন একে অপরকে জড়িয়ে ধরা চলবে না। অর্থাৎ মাঠে কোনও ধরনের উদযাপন হবে না।
গোল উদযাপনে চুমু
ফুটবল খেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কতদূর সম্ভব সেই নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিলই। এবার গোল উদযাপনে চুমু খাওয়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে আশায় বিধিনিষেধ কতটা মানা হচ্ছে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠল!
গোল হলে কী আর সামাজিক দূরত্ব মাথায় থাকে!
সত্যিই তাই। জার্মানিতে করোনা আবহ শান্ত হওয়ার পর ফুটবল শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গোল করে সামাজিক দূরত্বের কথা বেমালুল ভুলে গেলেন ফুটবলার।
ফুটবলারের সেলিব্রেশন ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি
শনিবার বুন্দেসলিগায় হফেনহেইমের বিরুদ্ধে গোলের পর হার্থারের এক ডিফেন্ডারের সেলিব্রেশন করতে গিয়ে সতীর্থ ফুটবলারকে চুমু খেয়ে বসেন। এতেই বিতর্কের উৎপত্তি। হার্থার ডিফেন্ডার ডেড্রিক বোয়াতা সতীর্থ মার্কো গ্রুজিচের কপালে চুমু খেয়ে বসেন।
ফুটবলার এমন কাণ্ড ঘটিয়ে যা বললেন
হার্থারের ঐ ডিফেন্ডার ডেড্রিক বোয়াতা অবশ্য বিষয়টি একেবারেই হাল্কাভাবে নিয়েছেন। তিনি বলেন, 'ক্লাবের ফুটবলারদের ৬ বার করোনা টেস্ট করা হয়েছে। প্রত্যেকবারই রিপোর্ট নেগেটিভ। তারপর এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে মনে হয়। গোলের পর সেলিব্রেশন না করার বিষয়টা আবেগের বসে ভুলে যাই। বললেই আবেগকে বিসর্জন দেওয়া যায় নাকি? সেলিব্রেশন বিসর্জনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে!'
জার্মান ফুটবল সংস্থা যা জানাল
করোনা আতঙ্কে সামাজিক দূরত্ব ভূলে গোল সেলিব্রশেন চুমু খাওয়ায় ফুটবলারের কোনও শাস্তি হচ্ছে না বলে জার্মান ফুটবল সংস্থা জানিয়েছে।
বিশ্বের করোনা পরিস্থিতির কী অবস্থা
মরণ ব্যাধি করোনায় কাঁপছে পুরো বিশ্ব। অদৃশ্য এই ভাইরাসের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ৪৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখের বেশি।
চাহালকে কেন 'জোকার' বললেন বিরাট? কেনই বা সতীর্থকে থামতে বললেন ভারত অধিনায়ক?