ইস্টবেঙ্গলের মতো ভুল করেনি মোহনবাগান,ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে নেই কোনও সমস্যা
ইস্টবেঙ্গলের মতো ভুল করেনি মোহনবাগান,ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে নেই কোনও সমস্যা
ইস্টবেঙ্গলের মতো ভুল করেনি মোহনবাগান। কোয়েসের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েও সমস্যা রয়েই গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। স্পোর্টিং রাইটস না পাওয়ার কারণে আসন্ন মরসুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেখানে পড়শি ক্লাব মোহনবাগান কিন্তু গাইডলাইন মেনে কাজ করে ঝুঁকি এড়িয়ে গিয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।
কোথায় প্রশ্ন
নতুন মরসুমের জন্যে নিয়ম করে ফুটবলার রিক্যুট করার ঘোষণা করছিল ইস্টবেঙ্গল। বলবন্ত, লিংডো, চুলোভাদের ইস্টবেঙ্গলে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু পুরো চুক্তিই হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের লেটারহেডে। যার ফেডারেশনের কাছে কোনও গুরুত্ব নেই। কারণে ফেডারেশনে এখন লাল-হলুদ ক্লাব কোয়েস ইস্টবেঙ্গল নামে নথিভুক্ত। জুনের মধ্যে কোয়েসের থেকে স্পোর্টিং রাইটস নিয়ে নিলে চুক্তি করা ফুটবলারদের ধরে রাখা যাবে। নইলে অগাস্টে ট্রান্সফার উইন্ডোতে চুক্তি বৈধ না হওয়ার অজুহাতে এজেন্টরা ফুটবলারদের অন্য ক্লাবে সই করিয়ে দিতেই পারে।
মোহনবাগানে চুক্তি নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই
ইস্টবেঙ্গলে ফুটবলারদের চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন এত আলোচনা তখন দুই ক্লাবের মার্জার হওয়ার পর মোহনবাগান ও এটিকে ক্লাবের চুক্তিতে থাকা ফুটবলারদের নিয়ে কিন্তু কোনও প্রশ্ন উঠছে না। কলকাতার দুই ক্লাব এটিকে ও মোহনবাগান এক্ষেত্রে এএফসি ও ফেডারেশনকে জানিয়ে গাইডলাইন মত কাজ করে চলেছে।
এটিকে ও মোহনবাগানে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে কারা
এটিকের সঙ্গে অরিন্দম ভট্টাচার্য, প্রীতম কোটালদের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। অন্যদিকে শেখ সাহিল, ফ্রান গঞ্জালেসদের সঙ্গে মোহনবাগানের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে দুই ক্লাবের আলাদা এই চুক্তি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।
বাগান কর্তার মত
এক ক্রীড়া ওয়েব সাইটকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় মোহনবাগান অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বলেছেন, ফেডারেশনের কাছে দুই ক্লাবেরই লাইসেন্স রয়েছে। মোহনবাগানের লাইসেন্স রয়েছে। এটিকেরও লাইসেন্স আছে। দুই ক্লাব এবার থেকে নতুন করে মার্জ করছে। সেক্ষেত্রে লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া নিয়ে দুই ক্লাবের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। এএফসি ও ফেডারেশনের গাইডলাইন মেনেই দুই ক্লাবের সংযুক্তিকরণ হচ্ছে। এবার নতুন একটা ক্লাবের পরিচয় তৈরি হচ্ছে। যেখানে ফুটবলারদের চুক্তি নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। দুই ক্লাবের ফুটবলারের চুক্তির বৈধতা নিয়ে ফেডারেশনের কাছে স্বচ্ছ ধারনা রয়েছে।
করোনা ভাইরাসের আবহেই রাজ্য মন্ত্রীর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে শুরু অনুশীলন