আই-লিগের শীর্ষে জাঁকিয়ে বসল চেন্নাই সিটি! চেপে ধরেও দ্বিতীয়ার্ধে পথ হারালো মশাল-বাহিনী
ইস্টবেঙ্গল বনাম চেন্নাই সিটি এফসি, আইলিগ ২০১৮-১৯-এর ম্যাচের প্রতিবেদন।
আই লিগে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) কোয়েম্বাটোরের নেহরু স্টেডিয়ামে লিগ শীর্ষে থাকা চেন্নাই সিটি এফসিকে ধরে ফেলার ভাল সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করল ইস্টবেঙ্গল। খেলার শুরুতেই দানমাউইয়ার গোলে এগিয়ে গিয়েও সেই গোল ধরে রাখতে পারল না লালহলুদ। দ্বিতীয়ার্ধে পেদ্রো ও জেসুরাজের গোলে ১-২ ফলে জিতল চেন্নাই।
এদিন লালকার্ড দেকা চুলোভার পরিবর্তে রাইটব্য়াকে সামাদ আলি ন্ডলকে খেলান মেনেন্দেজ। এছাড়া দ্বিতীয় কোনও পরিবর্তন করেননি র্প্রথম একাদশে। প্রথম থেকেই দারুণ চাপ দিয়ে খেলা শুরু করেছিল লাল-হলুদ। আক্রমণে জাস্টিন ও ডোভালের সঙ্গে যোগ দিচ্ছিলেন হাইমে ও দানমাউইয়া। ফলে প্রভিত্তো, শ্রীরামরা বলের নাগালই পাচ্ছিলেন না।
এই চাপের মুখেই প্রথম গোলের দরজা খুলে যায় ইস্টবেঙ্গলের জন্য করণার থেকে দ্বিতীয় পোস্টে বল রেখে ছিলেন রালতে। চেন্নাই রক্ষণের অগোচরে বোরহা গোমেজ তা নামিয়ে দেন দানমাউইয়ার জন্য, প্রথম সুযোগেই গোল করতে ভুল করেননি লাল লুদের উইঙ্গার।
প্রথমার্ধে লাল হলুদের প্রাধান্যই বেশি থাকলেও আর গোল আসেনি। ডোভালের একটি চমৎকার পাস থেকে জাস্টিন গোলে শট নিলেও কিন্তু কেরলের স্ট্রাইকারের শটটি গোলের ইঞ্চিখানিক বাইরে দিয়ে যায়। চেন্নাই খুব বেশি সুযোগ না পেলেও রবার্তো নেস্টরকে আউটস্টেপ দিয়ে একিট দর্শনীয় পাস দিয়েছিলেন, যা চেন্নাই উইঙ্গার দুর্বল শটে নষ্ট করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূবর্ণ বদলে যায় চেন্নাই। ণশালবাহিনীর চাপ আলগা করে ক্রমশ খেলায় ফিরতে থাকে। ৪৮ মিনিটের মাথাতেই সমতা ফেরানোর গোল পেয়ে যায় তারা। এডুইন বংশপাল বক্সের মাতা থেকে গোলে শট নিয়েছিলেন। পেদ্রো মানজি তা চতুরভাবে ঘুরিয়ে দিয়ে লাল-হলুদ গোলকিপারকে বোকা বানান। এই নিয়ে লিগে তাঁর ১১টি গোল হয়ে গেল।
এরপরই ম্য়াচের নিয়ন্ত্রন হারায় ইস্টবেঙ্গল। খেলায় চাপ বাড়াতে থাকে লিগ লিডার-রা। ৭০ মিনিটের মাথায় স্যন্ড্রো অনেকটা নিচে নেমে এসে দারুণ লম্বা আড়াআড়ি বল বাড়িয়েছিলেন প্রভিত্তো রাজুকে উদ্দেশ্য করে। সেই বল ধরে উপরে উঠে আসেন চেন্নাই উইঙ্গার। বক্সের মধ্যে তিনি পেয়ে যান জেসুরাজকে। চেন্নাইকে এগিয়ে দেন তিনি।
এখান থেকে আর ম্য়াচে ফিরতে পারেনি লাল-হলুদ। এদিন জিততে পারলে চেন্নৈাই সিটির অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছে যেত ইস্টবেঙ্গল। বর্তমানে চেন্নাই ১২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগের দ্বিতীয় দল চার্চিলের থেকে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে থাকল। আর ইস্টবেঙ্গল ১১ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে রইল ৬ নম্বরে।