ফের জোড়া গোল, এস্কেদা নামতেই ঘুরল খেলা! খেতাবের দৌড়ে দুরন্ত গতিতে ছুটছে মশালবাহিনী
সল্টলেক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইস্টবেঙ্গল প্রথমে পিছিয়ে পরেও এনরিকে এস্কেদার জোড়া গোলে নেরোকাকে ২-১ গোলে পরাজিত করল।
যুবভারতীতে লিগ জয়ের মশাল জ্বালিয়ে রাখলেন এস্কেদা। আই লিগ এখন এমন রোমাঞ্চকর পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একটি পয়েন্ট নষ্ট মানেই অনেকটা পিছিয়ে পড়া। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কলকাতার মাঠে নেরোকার মুখোমুখি হয়েছিল লিগ জয়ের অন্য়তম দাবিদার ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে এস্কেদার জোড়া গোলে ২-১ ফলে জিতল মশাল-বাহিনী।
ম্য়াচের একেবারে শুরুতেই (৩') গোল করে নেরোকাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তাদের হয়ে এদিনই অভিষেক হওয়া চেঞ্চো গিয়েলেতসেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদের মেক্সিকান স্ট্রাইকার এস্কেদা মাঠে নামতেই ঘুরল খেলা। উঠল মুহূর্মুহু আক্রমণের ঝড়। এস্কেদার জোড়া গোল (৬৭', ৮৭')-এই নেরোকাকে ২-১ ফলে হারিয়ে লাল-হলুদ আই লিগে ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্টে পৌঁছাল।
দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ
পুজোর মরশুমে বহু বাঙালি দার্জিলিংয়ে ছুটি কাটাতে যান। বর্ষা কাটিয়ে এই সময়ে ছন্দে ফেরে এই শৈল শহর। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে এখানে আসাটাই সবচেয়ে ভালো।
অভিষেকেই গোল চেঞ্চোর
গোল করার সমস্যা মেটাতে বেঙ্গালুরু এফসি থেকে চেঞ্চো-কে লোনে নিয়েছে নেরোকা। অভিষেক ম্যাচে একেবারে ৩ মিনিটের মাথাতেই তিনি গোল করে যান। কর্নার থেকে বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন কাতসুমি। সেই বল ধরতে গিয়ে ভুল করেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক দাগার। ক্লিয়ার করতে গিয়ে তা চেঞ্চোর পায়ে তুলে দিয়েছিলেন রালতে। হাল্কা টোকায় গোল করে যান তিনি।
পাঁচমারি, মধ্যপ্রদেশ
মধ্যপ্রদেশের এই হিল স্টেশনটি শীতের মরশুমের শুরুতে ছুটি কাটানোর পক্ষে আদর্শ। কথিত আছে, এখানে একটি গুহা তৈরি করেন পাণ্ডবরা। সেটি এখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনস্থল।
ললিত প্রতিরোধ
এরপর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। বিরতির আগেই বেশ কয়েকবার সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই জাল আর বলের মধ্যে বাধা হয়ে ওঠেন নেরোকার গোলরক্ষক ললিত থাপা। বক্সের মধ্যে থেকেও গোল করতে পারেননি ডোভাল। বিরতির ঠিক আগে একটি ব্যাকভলি নিয়েছিলেন জাস্টিন। তাও আটকে দেন ললিত।
ঔরঙ্গাবাদ, মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রের ট্যুরিজম ক্যাপিটাল হিসাবে খ্যাত হল এই শহর। এই শহরে মোঘল স্থাপত্যের ছড়াছড়ি রয়েছে। এছাড়াও অজন্তা ইলোরার গুহাও রয়েছে এখানে।
তিন বদলে কিস্তিমাত
সম্ভবত জয়ী দলের সমন্ব. ভাঙবেন না বলেই সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও এদিনও এস্কেদাকে বাইরে রেখেই প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন মেনেন্দেজ। কিন্তু বিরতির পর প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যেই লাল-হলুদ কোচ একে একে ডোভাল, রালতে ও কমলপ্রিতকে তুলে নামান যথাক্রমে এস্কেদজা, ব্র্যান্ডও ও সামাদ-কে। আর এই তিন বদলেই ঘুরে যায় খেলা।
দিঘা, পশ্চিমবঙ্গ
পূর্ব মেদিনীপুরের এই উপকূলবর্তী শহর বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। এর পাশাপাশি শঙ্করপুর, মুকুটমনিপুর, মোহনা ইত্যাদিও এখানকার অন্যতম সেরা পর্যটনস্থল।
রক্ষণাত্মক মানসিকতার মাসুল
সেই সঙ্গে প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকার সুবাদে দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটাই রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলতে শুরু করে নেরোকা। এর পুরো সুযোগ মশালবাহিনী নিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের হাতে এখন আক্রমণের অনেক বিকল্প, ক্রমেই তারা নেরোকা বক্সে ভিড় বাড়াতে শুরু করে। আর এই চাপেই স্প্যানিশ মেক্সিকান যুগলবন্দীতে সমতা ফেরায় লাল-হলুদ। হাইমের একেবারে মাপা ক্রসে মাতা ছুঁইয়ে ম্যাচে তাঁর প্রথম গোল করে যান এস্কেদা।
ঋষিকেশ, উত্তরাখণ্ড
বদ্রীনাথ, কেদারাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী সহ গারওয়াল হিমালয়ের নানা জায়গায় যেতে হলে ঋষিকেশে আপনাকে আসতেই হবে। এই সময়ে এখানকার আবহাওয়া সবচেয়ে মনোরম থাকে।
ঝড় তুলে উঠল ফসল
সমতা ফিরতেই আক্রমণে একেবারে ঝড় তোলে ইস্টবেঙ্গল। তিন পয়েন্টের জন্য মরিয়া ইস্টবেঙ্গ আক্রমণের মুখে একেবারে দিশা হারা হয়ে যায় নেরোকা রক্ষণ। তবে জয়ের গোল আসছিল না। তা আসে একেবারে নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে, ম্য়াচের ৮৬ মিনিটে। নেরোকা বক্সের প্রান্তে সামাদকে বল দিয়েছিলেন ব্র্যান্ডন। তিনি একটি বাঁক খাওয়া ক্রস তোলেন বক্সের মধ্যে। দ্বিতীয় হেড গোলে ৩ পয়েন্ট সুনিশ্চিত করে দেন এস্কেদা।
গণপতিপুলে, মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন উপকূলে অবস্থিত এই জায়গাটি অক্টোবর মাসে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো। এখানে চারশো বছরের পুরনো গণেশের মন্দির রয়েছে।
প্যানগং লেক, জম্মু ও কাশ্মীর
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৩৫০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত প্যানগং লেকটি 'প্যানগং সো' নামেও পরিচিত। এখানে বহু দেশি-বিদেশি পাখির আনাগোনা লেগেই থাকে। তার টানেই পর্যটকেরা ছুটে আসেন এখানে। সঙ্গে রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। শীতকালে এই লেক একেবারে জমে বরফ হয়ে যায়। তার আগেই এখানে ঘুরে আসা ভালো।
কাকোলেম বিচ, গোয়া
এই সমুদ্র সৈকতটি গোয়ার নির্জন সৈকতগুলির অন্যতম। এটিকে 'টাইগার বিচ'-ও বলা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কেউ কখনও বাঘের দেখা পাননি। ফলে নির্জন এই সৈকতে মনের সুখে সময় কাটাতে কোনও বাধা নেই। গোয়ায় গেলে এরকম নানা সৈকতে মনের সুখে সময় কাটাতে পারবেন এই সময়ে।
চক্রতা, উত্তরাখণ্ড
উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের একটি ক্যান্টনমেন্ট শহর এই চক্রতা। বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ট্রেকিং থেকে শুরু করে, প্যারাসেইলিং, রক ক্লাইম্বিং ইত্যাদির সুসব্যবস্থা রয়েছে এখানে। আর পাশাপাশি রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
গরুমারা, পশ্চিমবঙ্গ
গরুমারার জঙ্গল বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। গণ্ডার, হাতি ঢুকলেই দেখতে পাবেন সকলে। তবে পরিবারকে নিয়ে এর ভিতরে রাত কাটিয়েছেন কি? এই অভিজ্ঞতা একেবারে অনন্য, তাতে সন্দেহ নেই।
রোহরু, হিমাচলপ্রদেশ
হিমাচলপ্রদেশে অবস্থিত এই জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫২৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এই জায়গা সুন্দর রূপের পাশাপাশি আপেলের জন্যও বিখ্যাত।
চপতা, উত্তরাখণ্ড
উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত অসাধারণ সুন্দর হিল স্টেশন এই চপতা। প্রাকৃতিক শোভা এমনই অনন্য যে এই অঞ্চলকে ভারতের 'সুইৎজারল্যান্ড' বলা হয়।
হ্যাভলক দ্বীপ, আন্দামান
আন্দামানে ঘুরতে গেলে হ্যাভলক দ্বীপে না গেলে ঘোরা সম্পূর্ণ হবে না। সেখানকার সবচেয়ে সুদৃশ্য দ্বীপগুলির একটি এই হ্যাভলক। এখানে মোট পাঁচটি গ্রাম রয়েছে যার নাম : গোবিন্দ নগর, রাধা নগর, বিজয় নগর, শ্যাম নগর ও কৃষ্ণ নগর। এখানে এলে বাড়ি ফিরতে মন চাইবে না।
তোস, হিমাচল প্রদেশ
হিমাচল প্রদেশেই অবস্থিত তোস গ্রামটিতে গেলেও মন প্রশান্তিতে ভরে উঠবে। প্রকৃতির কোলে, মুক্ত বাতাসে ঘ্রাণ নিতে নিতে একেবারে সজীব হয়ে উঠবেন আপনি।
মুসৌরি, উত্তরাখণ্ড
উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন জেলায় অবস্থিত মুসৌরিকে বলা হয় 'কুইন অব হিলস'। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮৮০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত শিবালিক পর্বত ও দুন উপত্যকায় মোড়া মুসৌরি সবসময়ই আপনাকে হাতছানি দেবে।
উটি, তামিলনাড়ু
নীলগিরির ঢালে অবস্থিত দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় হিল স্টেশনগুলির অন্যতম উটি। উটাকামুন্ড ছিল জায়গাটির সরকারি নাম। সেখানে থেকে ভেঙে হয়েছে উটি। এখানকার পর্বতগুলিকে 'ব্লু মাউন্টেনস' বলেও ডাকা হয়।
সিমলা
হিমাচল প্রদেশের সেরা আকর্ষণ সিমলার হিল স্টেশন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থিত সিমলায় গ্রীষ্মের সময় লাখো-লাখো পর্যটক ভিড় জমান। ব্রিটিশ ভারতে সিমলাকে 'সামার ক্যাপিটাল' বলে অভিহিত করা হতো। অক্টোবরের সময়েও এখানে গেলেই মন ভালো হয়ে যাবে।
৩ দিন পরেই ১০ ফেব্রুয়ারি খেতাবের দৌড়ে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে শ্রীনগরের মাঠে নামতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। গোকুলাম কেরল ম্য়াচে যেভাবে তুষাড়পাত হয়েছে, তাতে মশাল বাহিনীর কাজটা কিন্তু খুব কঠিন।