করোনা ধাক্কায় ময়দানে থামল ১২৭ বছরের প্রথা! ভাইরাস আতঙ্কে জমকালো উৎসব আজ বেরঙীন
করোনা ধাক্কায় ময়দানে থামল ১২৭ বছরের প্রথা! ভাইরাস আতঙ্কে জমকালো উৎসব আজ বেরঙীন
করোনা ধাক্কায় বিশ্বজুড়ে ফুটবলে ধাক্কা। প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বে ফুটবল বন্ধ ছিল। এরপর জার্মানির বুন্দেসলিগায় দিয়ে বিশ্বে ফুটবলযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ইউরোপে বল গড়ালেও এখনও ভারতীয় ফুটবল মাঠে বল গড়ানোর কোনও আশা নেই। এর মাঝে করোনা ধাক্কায় ময়দানে থামল ১২৭ বছরের প্রথা। ভাইরাস আতঙ্কে জমকালো উৎসব আজ বেরঙীন।
দিঘা সৈকত
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পরিচিত ও জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত হল দিঘার সৈকত। রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থলও বটে। সারা রাজ্য এমনকী দেশের নানা রাজ্য থেকে পর্যটক আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের এই উপকূলবর্তী এলাকায়। ফলে সারাবছর এখানে ভিড় লেগেই থাকে।[(ছবি) ভারতের এই দশটি অদ্ভুত মন্দির সম্পর্কে আপনি জানেন না]
করোনা ধাক্কায় বাতিল হল ইফতার পার্টি
করোনা উদ্বেগে দেশে এখন কোনও ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাবধানতা মেনে চলে পবিত্র রমজান মাসে ইফতার পার্টি বাতিল করল মহামেডান।
মন্দারমনি সৈকত
দিঘার পরে আর এক জনপ্রিয় সৈকত হল মন্দারমনি। এটিও পূর্ব মেদিনীপুরেই অবস্থিত। কলকাতা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মন্দারমনি সপ্তাহান্তে ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা। এছাড়া এখানকার সৈকত দিয়ে অনেকটা ড্রাইভ করে যেতে হয়। এটাও এই সৈকতের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।
পবিত্র রমজানে সাদা কালো তাঁবুতে ইফতারের আসর
প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ সপ্তাহে রেড রোডের ধারে সাদাকালো তাঁবুতে জমকালো ইফতারের আসর বসে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মেয়র, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধি ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নিমন্ত্রিতদের তালিকায় থাকেন।
শঙ্করপুর সৈকত
দিঘার অদূরে শঙ্করপুর সমুদ্র সৈকতও পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এখানকার সৈকতটিও বেশ সুন্দর এবং সমুদ্রস্নান করে এখানে পর্যটকদের মজা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। দিঘা থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে এই সৈকতটি অবস্থিত। ধীরে ধীরে এখানকার আকর্ষণও দিঘার মতোই ক্রমবর্ধমান।
শতবর্ষ পুরনো প্রথা
শতবর্ষের উপর এই প্রথা ময়দানে চলে আসছে। ক্লাবের শীর্ষকর্তা মহম্মদ কামারুদ্দিন জানান, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক সবকিছু গ্রাস করেছে। এখন করোনা থেকে বাঁচার উপায় ছাড়া আর কিছু ভাবা যাচ্ছে না। করোনা রুখতে এখন দেশজুড়ে লকডাউন। ভাইরাস ধাক্কায় মহামেডান ক্লাবের ঐতিহ্যের বার্ষিক ইফতার পার্টি অনুষ্ঠান বাতিল করতেই হল। ইফতার মানে ক্লাবের কাছে মিলন উৎসর। কিন্তু করোনার ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তা বাতিল করা ছাড়া উপায় নেই।
তাজপুর সৈকত
বিগত কয়েকবছরে তাজপুর সমুদ্র সৈকতও ধীরে ধীরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা অনেকবার দিঘা-মন্দারমনি ঘুরে এসেছেন তাদের কাছে নতুন স্পট হিসাবে তাজপুর ভালো লাগবেই। সুদৃশ্য সৈকতে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখা এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে।
বাতিল শান-এ-মহামেডান
ইফতার পার্টির সঙ্গে শান-এ-মহামেডান অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে কোনও এক ফুটবলারের হাতে মহামেডান রত্ন তুলে দেওয়া হয়। আপাতত কারুর হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হচ্ছে না। বিগত কয়েক বছরের ইফতার পার্টিতে মহম্মদ হাবিব, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবির আলিদের মহমেডান ক্লাব শান-এ-মহামেডান সম্মানে সন্মানিত করেছিল মহামেডান ক্লাব।
চাঁদিপুর সৈকত
চাঁদিপুর ওড়িশার অন্যতম সুন্দর সমুদ্র সৈকতগুলির মধ্যে অন্যতম। ভাঁটার সময়ে চাঁদিপুরের সৈকত থেকে সমুদ্রের জল ৫ কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত চলে যায়। আবার জোয়ার এলে এতটা এলাকায় ফের জলে ভরে যায়। প্রতিদিনই এই লুকোচুরি খেলা চলতে থাকে। আর এর টানেই বহু মানুষ এই সৈকতে আসেন।
চন্দ্রভাগা সৈকত
চন্দ্রভাগা সৈকতটিও ওড়িশায় অবস্থিত। পুরান মতে এই সৈকতটি অত্যন্ত পবিত্র। কোনারক মন্দিরে পাশে অবস্থিত এই সৈকত ওড়িশার অন্যতম আকর্ষণীয় সৈকত।
পুরী সৈকত
সারা দেশ থেকে মানুষ পুরীতে যায় জগন্নাথদেবের দর্শনের জন্য। তার পাশাপাশি পুরীর সৈকতটিও কিন্তু যথেষ্ট আকর্ষণীয়। পুরীর মন্দিরের অদূরে হওয়ায় এই সৈকতটি সারাবছর জনসমাগমে পূর্ণ থাকে।
তালসারি সৈকত
ওড়িশার আর এক জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত রয়েছে তালসারিতে। এটি ওড়িশার বালেশ্বরে অবস্থিত। এখানে সারা সৈকতে লাল কাঁকড়া ঘুরে বেড়ায়। যা এই সৈকতের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
কাঁকিনাড়া সৈকত
এই সৈকতটি অন্ধপ্রদেশে অবস্থিত। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে সারা বছর মানুষ এসে এখানে ভিড় করেন। পূর্ব গোদাবরী জেলায় অবস্থিত এই সৈকতটি অন্ধ্রপ্রদেশের অন্যতম সেরা সৈকত বলে পরিচিত।
ঋষিকোন্ডা সৈকত
রুশিকোন্ডা বা ঋষিকোন্ডা সৈকতটিও অন্ধ্রপ্রদেশেই অবস্থিত। বিশাখাপত্তনমের অন্যতম সুদৃশ্য সৈকত এটি। বলা হয়, এখানে যারা একবার আসেন তারা দ্বিতীয়বার এখানে ঢুঁ মারবেনই।
মেরিনা সৈকত
মেরিনা বিচ চেন্নাইয়ে অবস্থিত। দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘতম সৈকত হল এই মেরিনার সৈকত। এটিই একমাত্র সৈকত যা শহরের মধ্য অবস্থিত। ভারতের আর কোনও সৈকত এমন বড় শহরের মধ্যে পড়ে না।
সুযোগ পেলে সারাদিন লুকিয়ে কী কী খাবার খাবেন বিরাট, শুনলেই জিভে জল!