করোনা আতঙ্কে আইপিএলের ভাগ্য নির্ধারণে কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে বিসিসিআই
করোনা আতঙ্কে আইপিএলের ভাগ্য নির্ধারণে কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে বিসিসিআই
করোনা ভাইরাসের প্রভাব যেন কমতেই চাইছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাজেহাল হতে হচ্ছে সরকারকে। এই অবস্থায় লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে আর কোনও উপায় নেই। পুরোপুরি তেমনটা হলে আইপিএলের ভবিষ্যত কী, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় ক্রিকেট প্রেমীরা।
করোনা ভাইরাসের প্রভাব
বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৮ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক লক্ষেরও বেশি মানুষের। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে।
দেশজুড়ে লকডাউন
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে দেশজুড়ে ২১ দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায়, ভিডিও কনফারেন্সিং-র মাধ্যমে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, কর্নাটক সহ দেশের বেশ কিছু রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ ১৫ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
আইপিএল নিয়ে অনিশ্চয়তা
২৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল আইপিএল। করোনা ভাইরাসের জেরে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বলে জানায় বিসিসিআই। লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায়, তা যে আর সম্ভব নয়, সে বোঝাই যাচ্ছে।
ফের পিছোতে পারে আইপিএল
বিসিসিআই-র একটা সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আরও পিছিয়ে যেতে পারে আইপিএল। করোনা ভাইরাসের প্রভাব কমলে আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
পরিধি কমতে পারে
আইপিএল আরও পিছিয়ে দেওয়া হলে টুর্নামেন্টের পরিধি কমে যেতে পারে বলে বিসিসিআই-র একটা সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে একই দিনে দুটি করে ম্যাচ বেশি সংখ্যায় রাখা হবে বলে খবর। এমনকী মাঠের সংখ্যাও সীমিত করা হতে পারে বলে বিসিসিআই সূত্রে খবর।
সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে
বিসিসিআই-র এক কর্তা জানিয়েছেন যে তাঁরা সম্পূর্ণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে বিসিসিআই তাকিয়ে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ফ্রাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবেন বলেও সূত্রের খবর।