চিনা স্পনসরের সঙ্গে এখনই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন নয়, বুঝিয়ে দিল বিসিসিআই
চিনা স্পনসরের সঙ্গে এখনই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন নয়, বুঝিয়ে দিল বিসিসিআই
লাদাখে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানকে হত্যার ঘটনার নিন্দায় সরব হয়ে চিনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন দেশের মানুষ। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ৫৯টি চিনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার। দেশজুড়ে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই প্রবাহে গা ভাসাতে রাজি নয় বিসিসিআই। এখনই যে চিনা স্পনসরের সঙ্গে আইপিএলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবির।
গভর্নিং কাউন্সিলের পর্যালোচনা বৈঠক
ইন্দো-চিন যুদ্ধের আবহে গত ১৯ জুন বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, খুব শীঘ্র স্পনসরশিপ ইস্যুতে রিভিউ মিটিং বা পর্যালোচনা বৈঠকে বসবে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। চিনা সংস্থা ভিভো-ই আইপিএলের টাইটেল স্পনসরার থাকবে কিনা, তা জানতে গত শুক্রবার আলোচনায় বসার কথা ছিল ব্রিজেশ প্যাটেলদের। সেই বৈঠক হয়নি। ফের কবে বৈঠক হবে, তাও ঠিক করতে পারেনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই।
বিসিসিআইয়ের বক্তব্য
চিনা স্পনসর বাতিল ইস্যুতে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পর্যালোচনা বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন এক বিসিসিআই কর্তা। তাঁর কথায়, ওই বৈঠকের আগে অন্যান্য বিষয় নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বোর্ডকে। সব সমস্যার সমাধানের হলে তবেই চিনা স্পনসর ইস্যুতে বৈঠক ডাকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই কর্তা। একই সঙ্গে তাঁর সাফ কথা, ভিভোর সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ বা বাতিল করার মতো কোনও কথা ব্যবহার করেনি বিসিসিআই।
বিশেষজ্ঞদের মত
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইচ্ছে থাকলেও চিনা সংস্থা ভিভোর সঙ্গে চুক্তি শেষ করতে পারবে না বিসিসিআই। করোনা ভাইরাসের জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে আইপিএল। তাতেই বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বোর্ড। তার ওপর মাথার ওপর থেকে চিনা সংস্থার ছাতা উঠে গেলে বিসিসিআই বড়সড় বিপদের মুখে পড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিসিসিআই ও ভিভোর চুক্তি
আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ভিভোর সঙ্গে পাঁচ বছর বা ২০২২ সাল পর্যন্ত চুক্তি হয়েছে বিসিসিআইয়ের। টুর্নামেন্ট বাবদ প্রতি বছর ভারতীয় বোর্ডকে ৪৪০ কোটি টাকা দেয় চিনা সংস্থা। পাঁচ বছরের হিসেবে তা ২২০০ কোটি টাকা। এছাড়া আলিবাবা, পেটিএমের মতো চিনা সংস্থাগুলিও বিসিসিআই-তে বড় অঙ্কের টাকা ঢালে। তাই হুট করে সেই সব সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবিরের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ অল্প সময়ে ওই বিপুল অঙ্কের স্পনসরশিপ বিসিসিআই-এর পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয় বলেও মনে করা হচ্ছে।
বাংলার ফুটবল পাল্টাতে আইএফএ-র পরিকল্পনা নিয়ে কী মত মোহনবাগান রত্ন সুব্রত ভট্টাচার্যের