বিসিসিআই-র সিএসি সদস্য হতে চলেছেন গৌতম গম্ভীর ও মদন লাল?
বিসিসিআই-র ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য হতে চলেছেন ভারতের ১৯৮৩ ও ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য যথাক্রমে মদন লাল ও গৌতম গম্ভীর।
বিসিসিআই-র ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য হতে চলেছেন ভারতের ১৯৮৩ ও ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য যথাক্রমে মদন লাল ও গৌতম গম্ভীর। কপিল দেব, অংশুমান গায়েকোয়াড়দের উত্তরসূরি হিসেবে আগামী চার বছর তাঁরা এই দায়িত্বে বহাল থাকবেন বলে বিসিসিআই সূত্রে খবর।
ভারতের ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মদন লাল। অন্যদিকে ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়ার হাতে বিশ্বকাপ ওঠার অন্যতম কারিগর গৌতম গম্ভীর ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এর আগে বিসিসিআই-র ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য় ছিলেন ভারতের ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক কপিল দেব ও টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেড কোচ অংশুমান গায়েকোয়াড়। স্বার্থের সংঘাত সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠায় মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছু আগেই তাঁরা সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তারও আগে ওই কমিটির সদস্য ছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর, বিসিসিআই-র বর্তমান সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভেরি ভেরি স্পেশাল লক্ষ্মণ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত বিচারপতি লোধা প্যানেলের তৈরি করা সংবিধান অনুযায়ী ওই তিন রথির বিরুদ্ধেও স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ নির্বাচনকারী এই কমিটির সদস্য হলে স্বার্থের সংঘাত সংক্রান্ত বিষয়টি কীভাবে দেখবেন, তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি নন মদন লাল ও গৌতম গম্ভীর। সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে ওই কমিটির সদস্য হতে পারেন ভারতের প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেটার সুলক্ষ্মণা নায়েক। দেশের হয়ে দুটি টেস্ট ও ৪৬টি ওয়ান ডে খেলেছেন তিনি।
বিসিসিআই সূত্রে খবর, এই নতুন ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটিই জাতীয় দলের নতুন নির্বাচকদের নিযুক্ত করবেন। এমএসকে প্রসাদ নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই-র বর্তমান নির্বাচক কমিটির মেয়াদ কাল শেষ হয়েছে। জাতীয় দলের নতুন প্রধান নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার দিলীপ বেঙ্গসরকার।