৭ এপ্রিল : ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের সেই দুর্দান্ত কামব্যাক ২ বছর আগে
৭ এপ্রিল : ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের দুর্দান্ত কামব্যাক ২ বছর আগে
করোনা ভাইরাসের জেরে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে আইপিএল। চলতি বছর আদৌ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে, ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবু আইপিএল ঘিরে ক্রিকেট প্রেমীদের মনে আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে দলের নাম যদি হয় চেন্নাই সুপার কিংস, তবে তার গুরুত্ব বেড়ে যায় দ্বিগুন। সেই সূত্রেই সিএসকে প্রেমীদের কাছে আজ সুখের দিন। কারণ ২ বছর আগের ৭ এপ্রিল, দুর্নীতির কলঙ্ক ঝেড়ে ফের আইপিএলে ফিরেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
২০১৩-র স্পট ফিক্সিং
২০১৩-র লজ্জাজনক আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। দুর্নীতির দায়ে ২০১৫-র জুলাই-তে এমএস ধোনির দল ও রাজস্থান রয়্যালসকে, ২ বছরের জন্য আইপিএল থেকে সাসপেন্ড করেছিল সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত, বিচারপতি আরএম লোধা কমিটি। টুর্নামেন্টের ২০১৬ এবং ২০১৭ সালের সংস্করণে অংশ নিতে পারেনি দুই দল।
২০১৮-এ কামব্যাক
দুই বছরের নির্বাসন কাটিয়ে ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল আইপিএলে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে চির প্রতিদ্বন্দ্বী মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল এমএস ধোনির দল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ওই ম্যাচ ১ উইকেটে জিতে আইপিএলে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিল সিএসকে।
চ্যাম্পিয়ন সিএসকে
দুই বছরের নির্বাসনও যে তাদের দলগত ঐক্যকে ভাঙতে ব্যর্থ, তা প্রমাণ হয় আইপিএলের ওই সংস্করণেই। বিগ ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য আইপিএল ট্রফি ঘরে তুলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ফের প্রমাণ করেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
তিন বার খেতাব
২০১০ সালে প্রথমবার আইপিএল খেতাব জিতেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। পরের মরশুম বা ২০১১ সালে সেই খেতাব ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ২০১২ সালেও আইপিএলের ফাইনালে (লাগাতার তিন বার) পৌঁছয় সিএসকে। সেবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে যায় হলুদ জার্সিধারীরা। ২০১৯-র আইপিএলেও ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল চেন্নাই সুপার কিংসের রথ। তবে একটুর জন্য খেতাব হাতছাড়া হয় তাদের।