ঠুঁঠো জগন্নাথ বনছেন বোর্ড কর্তারা, সিওএ-র নতুন পদক্ষেপ, ক্ষুব্ধ বোর্ড কর্তারা
বিসিসিআই আধিকারিকদের সব ক্ষমতা ছেঁটে ফেলল সিওএষ বিক্ষুব্ধ বিসিসিআই আধিকারিকরা।
বিসিসিআই কর্মকর্তাদের কার্যত ঠুঁঠো জগন্নাথ করে দেওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল কমিটি অফ অ্যাডমিনিসট্রেটর। এবার বোর্ড কর্মকর্তাদের হাত থেকে আরও ক্ষমতা কেড়ে নিল।
[আরও পড়ুন:হাসিনের অভিযোগের কাগজ পৌঁছে গেল বিসিসিআইয়ে, শামির বিপদ বাড়ছেই ]
সিওএ সুপ্রিম কোর্টে যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত কার্যনির্বাহী পদাধিকারীদের সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ি যাঁরা পদে ছিলেন তাঁরা কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট সি কে খন্না, সচিব অমিতাভ চৌধুরি এবং কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরি। সিওএ জানিয়েছেন এই তিন পদাধিকারী নিজেদের পদে তিন বছরের মেয়াদ অতিক্রম করে ফেলেছেন। শুধু এটুকুই নয় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের কমিটি বলে দিয়েছে, কোনও সিদ্ধান্তই তাঁরা কমিটির সঙ্গে আলোচনা না করে নিজেরা নিতে পারবেন না।
বোর্ডের পদাধিকারীদের আইনি লড়াই করলে তা বিসিসিআইয়ের পয়সায় করা যাবে না এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে কমিটি অফ অ্যাডমিনিসট্রেটর। এছাড়াও বোর্ডের সমস্ত কাগজপত্র যার মধ্যে এফিডেভিট, অ্যাপলিকেশন সবেতেই শুধু সই করবেন সিইও।
সমস্ত চুক্তি থেকে টেন্ডার যা ২৫ লক্ষ টাকার ওপর হবে তাতে কমিটি অফ অ্যাডমিনিসট্রেটরের সই লাগবে। বিনোদ রাই ও ডায়না এডুলজির সিওএ একটি ১২ পয়েন্টের বিজ্ঞপ্তি বার করেছে। যাতে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে যাতে পরিচালন ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হয়েছে।
এদিকে বিসিসিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তারা আদৌ খুশি নন গোটা বিষয়টায়। সিওএ নির্বাচনের জন্য বোর্ডে নতুন সংবিধানে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিসিসিআই কর্তারা আরও জানিয়েছে নিজেদের সিদ্ধান্তমতো বোর্ড পরিচালনা ছাড়া ১৬ মাসে সিওএ কিছুই করেননি। বাকি কিছুতেই সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানা হয়নি। আরও বিরক্ত হয়ে বিসিসিআই কর্তারা জানিয়েছেন 'মনে হয় ওঁরা যেন স্কুলের প্রিন্সিপাল আর আমরা স্কুলের ছাত্র'