করোনা পরবর্তী বিশ্বে বলের পালিশে থুতুর পরিবর্তে তবে কি এবার ঘাম? প্রাক্তনরা কী বলছেন
করোনা পরবর্তী বিশ্বে বলের পালিশে থুতুর পরিবর্তে তবে কি এবার ঘাম? প্রাক্তনরা কী বলছেন
প্রাণঘাতী করোনার উদ্বেগ নিয়ে প্রতিমুহূর্তে আশঙ্কায় দিন কাটাছে বিশ্ববাসী। ভাইরাস কবে নির্মূল হবে জানা নেই। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ পার করে উর্ধ্বমুখী।
করোনার কারণে ক্রিকেটের বাইশ গজে এখন তালা ঝুলছে। আগামী দুমাস অন্তত বাইশ গজে বল গড়ানোর আশা দেখা যাচ্ছে না। ক্রিকেট শুরু হলে, দলগত এই স্পোর্টসে চিরাচরিত অনেক ছবিই ফ্যানেরা মিস করতে চলেছেন ধরে নেওয়া যায়। যার প্রথমটা অবশ্য বলে থুতু দিয়ে পালিশ করার দৃশ্য।
বলের পালিশে থুতুর ব্যবহার হয়ত আর দেখা যাবে না
পেসাররা যাতে সুইংয়ে বাড়তি সুবিধে পান, সেই কারণে দলের ক্রিকেটাররা মুখের লালা বা থুতু ব্যবহার করে বলের পালিশ চকচকে করেন। এই দৃশ্যই হয়ত করোনা পরবর্তী সময় আর দেখা যাবে না। প্রাণঘাতী ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় , কী ক্ষতি হতে পারে সেই নিয়ে বিশ্বজুড়ে সবাই এখন তথ্যগুলি জানে ফলে লালা বা থুতু যে সংক্রমণের অন্যতম আতুঁড়ঘর সেই ধারণা সবারই রয়েছে। ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি আগেই এই নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন করোনা পরবর্তী ক্রিকেটে আর হয়ত থুতু দিয়ে বল ঘষতে দেখা যাবে না। এবার তিন প্রাক্তন ক্রিকেটারও একই সম্ভাবনা দেখছেন।
তিন প্রাক্তন পেসার যা ইঙ্গিত দিচ্ছেন
তিন প্রাক্তন পেসার জেসন গিলেসপি, বেঙ্কটেশ প্রসাদ ও প্রবীণ কুমার আগামী দিনে থুতু লাগিয়ে পালিশ তোলার দৃশ্য না দেখা সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছেন ।
প্রসাদ বলেছেন
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় প্রসাদ বলেছেন, 'ক্রিকেট শুরু হলে ছবিটা অবশ্যই বদলাতে চলেছে। প্রথম কয়েক মাস থুতুর পরিবর্তে ঘাম ব্যবহার করে পালিশ করা হচ্ছে এই ছবিই হয়ত আমরা দেখতে পারি। করোনা নিয়ে যা ভয়াবহ ছবি দেখা গেল। এরপর জীবনের ঝুঁকি না নেওয়াই উচিত। করোনা পরিবর্তী সময়ে ক্রিকেট শুরু হলে নিয়ম করে থুতুর ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।'
বল পালিশে কারা দায়িত্ব পেতে পারেন
প্রসাদ আরও জুড়েছেন দলের প্রত্যেক ক্রিকেটার সমান ঘামেন না। কেউ বেশি কেউ আবার কম। দলে যে ক্রিকেটার সবচেয়ে বেশি ঘামে। তাঁর উপরই বলের পালিশ তৈরির দায়িত্ব পড়তে চলেছে। এই নিয়ে প্রসাদ বলেন, তাঁদের সময় ভারতীয় দলে রাহুল দ্রাবিড় বেশি ঘামত।
প্রবীণ কুমারও থুতুর ব্যবহার কমানোর পক্ষে
ভারতের আরেক প্রাক্তন পেসার প্রবীণ কুমারও থুতুর ব্যবহার কমানোর বিষয়ে একমত। তিনি বলেছেন, 'বল পালিশ করতাম তাই পিচে পরে বল দারুণ বাঁক খেত।করোনা পরিবর্তী সময় বোলার ও ফিল্ডারদের থুতু কমানোর বিষয়টা দেখতে হবে। যেকারণে ঘামের ব্যবহারে বলের পালিশ তৈরি করতে হবে।'