মেলবোর্নে ঝলমলে পূজারা, তাঁর শতরানে চালকের আসনে ভারত
ফের শতরান চেতেশ্বর পূজারার। আর সেই সঙ্গে মেলবোর্ন টেস্টে চালকের আসনে ভারত। প্রায় দেড় দিন ধরে টানা ব্যাট করার পর শতরানে পৌঁছন তিনি।
ফের শতরান চেতেশ্বর পূজারার। আর সেই সঙ্গে মেলবোর্ন টেস্টে চালকের আসনে ভারত। প্রায় দেড় দিন ধরে টানা ব্যাট করার পর শতরানে পৌঁছন তিনি। ২৮০ বল খেলে এক প্রকৃত টেস্ট ব্যাটসম্যানের মতোই ১০০ রানের গণ্ডী ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। শতরানে পৌঁছতে দশবার সীমানার বাইরে বলও পাঠান পূজারা। অ্য়াডিলেড টেস্টেও প্রথম ইনিংসে এক দুরন্ত শতরান করে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়েছিলেন সৌরাষ্ট্রের এই ক্রিকেটার। এদিনও, তাঁর এই শতরান মেলবোর্ন টেস্টে ভারতকে অ্যাডভ্য়ান্টেজ পাইয়ে দিল।
মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম দিনেই প্রথম ডাউনে ব্যাট করতে নেমেছিলেন পূজারা। ময়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে জুটি বেঁধে যথেষ্ট ধৈর্যের সঙ্গে ব্যাটিং করছিলেন তিনি। ময়াঙ্ক আউট হতেই কোহলিকে জুটি হিসাবে পেয়ে যান। এরপর পূজারা ও কোহলি ভারতের রানের গতিকে বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, প্রথম দিনে যতটা রান ওঠার কথা ছিল ভারতের ঝুলিতে সেই সংখ্যক রান আসেনি। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পূজারা-কোহলি জুটির উপর নির্ভর করেই তিন শতাধিক রানের গণ্ডী যে ভারত পেরিয়ে যাবে তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। কিন্তু, বিরাট ভারতের স্কোর ২৯৩-এ আউট হয়ে যান। ভারতের তিন শত রানের গণ্ডী ছুঁতে তখনও ৭ রান দরকার ছিল। আর সেইসঙ্গে বিরাটও তাঁর শতরান থেকে ১৮ রান দূরে থমকে যান। মিচেন স্টার্কের বলে ফিঞ্চের হাতে ক্যাচ দিয়ে যখন বিরাট প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তখন তাঁর নামের পাশে ৮২ রান। বাউন্ডারি ৯টি।
বিরাট আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি পূজারাও। তিনি ৩১৯ বলে ১০৬ রান করে কামিন্সের বলে আউট হয়ে যান। তিনি বোল্ড আউট হন। পূজারা-র আউটের সময়ও ভারত তিন শত রান থেকে মাত্র ১ রান দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। বিরাট ও পূজারার আউট হওয়ার পর ক্রিজে ব্যাট করতে আসা রোহিত ও রাহানের হাত ধরে ৩০০ রানের গণ্ডী পার হয় ভারত। ভারতীয় মিডল অর্ডার ও টেল-এন্ডাররা উইকেট ছুঁড়ে না দিলে আরও অন্তত ১০০ রান ভারতের স্কোরবোর্ডে যুক্ত হওয়া উচিত।