ভারতের মাটিতে ছেলে খেলায় খুশি বংশোদ্ভূত কেশবের পরিবার
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে জমে উঠেছে বিশাখাপত্তনম টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ভারত ৭ উইকেটে ৫০২ রান তোলে। তারপর ইনিংস ডিক্লেয়ার দেয়।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে জমে উঠেছে বিশাখাপত্তনম টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ভারত ৭ উইকেটে ৫০২ রান তোলে। তারপর ইনিংস ডিক্লেয়ার দেয়। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা খেলা ধরে নেন। এবং তৃতীয় দিনের শেষে ৮ উইকেটে ৩৫৮ রান তুলেছে প্রোটিয়ারা।
ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে অনবদ্য খেলেছেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ময়াঙ্ক আগরওয়াল। প্রথমবার টেস্টে ওপেন করতে নেমে ১৭৬ রানে অনবদ্য ইনিংস খেলেন রোহিত। অন্যদিকে মায়ানক আগরওয়াল ওপেন করতে নেমে প্রথম দ্বিশত হাঁকান। তিনি করেন ২১৫ রান। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল কেশব মহারাজ। তিনি নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেশবের বিশাখাপত্তনম টেস্টে ভালো বোলিং করা তথা ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলার স্বপ্ন পূরণ হওয়া দেখে গর্বিত তাঁর পরিবার। তাঁর বাবা আত্মারাম মহারাজ দক্ষিণ আফ্রিকায় বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন বহু বছর আগে। তিনিও ছেলে ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলছে দেখে সেখান থেকে দৌড়ে এসেছেন। গোটা পরিবার নিয়ে বিশাখাপত্তনমের মাঠে বসে ছেলের খেলা দেখেছেন। কেশবের বাবা আত্মারাম ছাড়াও খেলা দেখতে এসেছেন মা কাঞ্চন ও ভাবী স্ত্রী লারিসা।
কেশবের বাবা মাইখেল ডটকম-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে ছেলের কথা জানিয়েছেন। বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে তাঁদের ঘরের মাটিতে বোলিং করা সহজ নয়। তবে কেশব যেভাবে দাঁত কামড়ে লড়াই করেছে, তা দেখে আপ্লুত বাবা আত্মারাম। একজন ভারতীয় হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্কৃতি সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ততটা সহজ ছিল না। তার ওপর ক্রিকেট খেলা তো বেশ কঠিন কাজ। আত্মারাম নিজের যৌবনে চেষ্টা করেছিলেন বটে, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি।
সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন ছেলে কেশব। আত্মারাম দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রভিন্সিয়াল ক্রিকেট খেলেছেন। অনেক সাহায্য পেয়েছেন তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলা হয়ে ওঠেনি। এই স্বপ্ন পূরণ করেছেন কেশব। ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে মাঠে যেতেন। তারপর ধীরে ধীরে খেলার প্রতি ভালোবাসা এবং শেষ অবধি বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে কঠিন পরিশ্রম করেছেন তিনি। সেই লড়াইয়ের কথা বলতে শোনা গিয়েছে বাবা আত্মারামের গলায়।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খুব ভালো বাঁহাতি স্পিনার কেউ আসেননি। পল হ্যারিস বা নিকি বোয়ে কিছুদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও কেশব তাদের ছাপিয়ে যেতে পারেন কিনা এখন সেটাই দেখার। বাবা আত্মারাম বলছেন ছেলে পরিশ্রমী ও সঠিক পথেই রয়েছে। এখন দেখার কতদূর যেতে পারেন কেশব।