মাত্র ১৫০০ টিকিট বিক্রি, রাঁচিতে আর টেস্ট ম্যাচ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
ভারতকে ২০০৭-র টি-টোয়েন্টি ও ২০১১-র ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ দিয়েছেন যিনি, সেই মহেন্দ্র সিং ধোনির শহর যে এভাবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে মুখ ফেরাবে, তা হয়তো কারও কল্পনাতেই আসেনি। হয়তো এমএস-রই দান।
ভারতকে ২০০৭-র টি-টোয়েন্টি ও ২০১১-র ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ দিয়েছেন যিনি, সেই মহেন্দ্র সিং ধোনির শহর যে এভাবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে মুখ ফেরাবে, তা হয়তো কারও কল্পনাতেই আসেনি। হয়তো এমএস-রই দান। সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে বিশ্বের সর্বকালের সেরা অধিনায়কের চারণভূমি রাঁচি যে শুধু সাদা বলের ক্রিকেটকেই কাছে টানতে জানে, তা দেখে হতাশ ক্রিকেট বিশ্ব।
শনিবার রাঁচির জেএসসিএ স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামছে টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচ জিতলে ঘরের মাঠে প্রোটিয়া শিবিরকে ৩-০ ব্যবধানে ওয়াশ আউট করে ইতিহাস গড়বে বিরাট কোহলি ব্রিগেড। অথচ সেই সন্ধিক্ষণের আগের মুহূর্তেও অদ্ভুতভাবেই নিরুত্তাপ এমএস ধোনির শহর। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার এই হাই ভোল্টোজ টেস্ট ম্য়াচ দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মাত্র ১৫০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে খবর। এই পরিসংখ্যানে অখুশি ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে যে ভবিষ্যতে এখান আর টেস্ট আয়োজন করার ব্যাপারে দুই বার ভাববে তারা।
রাঁচির ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে ৩৯ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে টেস্ট ম্যাচের জন্য অনেক আগে থেকেই টিকিট বিক্রি করতে শুরু হয়। নিরাপত্তারক্ষী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য পাঁচ হাজার এবং স্থানীয় স্কুল, ক্লাব, অ্যাকাডেমির জন্য ১০ হাজার ফ্রি টিকিট রেখে বাকি সাধারণ দর্শকদের জন্য বিক্রি করা হয়। তার মধ্যে মাত্র ১৫০০ টিকিট বিক্রি হওয়ায় হতাশ ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। যদিও তারা একা নয় টি-টোয়েন্টির কল্যানে দেশজুড়ে টেস্ট নিয়ে ক্রীড়া প্রেমীদের মধ্যে অনীহা তৈরি হয়েছে বলেই দাবি ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেট কর্তাদের।