হ্যাপি ধর্ষিতা হননি, রুবেলকে ক্লিনচিট দিয়ে জানাল বাংলাদেশের পুলিশ
ঢাকা, ৭ এপ্রিল : বাংলাদেশের অভিনেত্রী নাজনীন আখতার হ্যাপিকে ধর্ষণ করেননি সেদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। ফলে তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হোক। হ্যাপির দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় রুবেলকে ক্লিনচিট দিয়ে এই রিপোর্টই সোমবার আদালতে পেশ করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। আগামী ১৩ এপ্রিল এই মামলায় আদালতে শুনানি রয়েছে।
রুবেলের শোকে এবার ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার ব্যর্থ চেষ্টা হ্যাপির
গতকাল ঢাকার আদালতে যে চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড হ্যাপির শারীরিক পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, তাঁর শরীরের কোথাও জোরপূর্বক ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ রয়েছে যে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হ্যাপি প্রাপ্তবয়স্কা ফলে পারস্পরিক সম্মতিতে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
সবদিক বিচার করে চূড়ান্ত রিপোর্টে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে রুবেলকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে পুলিশি রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে মিরপুর থানায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন হ্যাপি। মামলা দায়েরের দুদিন পর ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে হাজির হয়ে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন রুবেল। এরপর ৮ জানুয়ারি সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে রুবেল জামিন চাইলে তার আবেদনে সাড়া না দিয়ে তাঁর জেল হাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
এর চারদিন পর ১২ জানুয়ারি হাজত থেকে বেরিয়ে বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচিত জাতীয় দলে যোগ দেন রুবেল ও বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করেন।