দ্বিশততম ম্য়াচের দোরগোড়ায় রোহিত শর্মা - এক নজরে দেখে নিন তাঁর অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর ২০০তম ওয়ানডে খেলবেন রোহিত শর্মা। এই উপলক্ষ্যে তাঁর অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান দেখে নেওয়া যাক।
ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বিশ্রাম নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) হামিল্টনে একদিনের সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ থেকে নিউজিল্যান্ড সফরের বাকি ম্যাচগুলিতে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। কাকতালীয়ভাবে হামিল্টনের ম্যাচটিই তাঁর দ্বিশততম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে চলেছে।
এখনও পর্যন্ত ১৯৯টি ওটিআই ম্যাচ খেলে ভারতের অস্থায়ী অধিনায়ক ৭৭৯৯ রান করেছেন। গড় ৪৮.১৪, স্ট্রাইক রেট ৮৮.৬১। শতরান রয়েছে ২২টি, অর্ধশতরান ৩৯টি। এর সঙ্গে ৬ মেরেছেন ২১৫টি, যা মহেন্দ্র সি ধোনির সঙ্গে যুগ্মভাবে ভারতীয় জার্সিতে সর্বোচ্চ। একদিনের ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬৪ রানের রেকর্ডও তাঁর দখলে।
তাঁর এই ২০০ ম্যাচে মাইলফলকে পৌঁছনোর সময়ে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর অবিশ্বাস্য সব পরিসংখ্যান।
৩টি দ্বিশতরান
সচিন তেন্ডুলকার প্রথম বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন একদিনের ক্রিকেটেও দ্বিশতরানের ইনিংস খেল যায়। আরেক মুম্বইকর রোহিত এই অত কঠিন কাজটা একেবারে জলভাত করে তিন-তিনবার করে দেখিয়েছেন। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করেছিলেন ২০৯, ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৬৪ ও ২০১৭ সালে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অপরাজিত ২০৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
সর্বোচ্চ ছক্কা
২০১৩ সালে রপ্রথম দ্বিশতরানের ইনিংসটি খেলার সময় তিনি ১৬টি ছয় মেরেছিলেন। এখনও একদিনের ক্রিকেটে এক ইনিংসে এটিই স্বর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড। ২০১৫ বিশ্বকাপ চলাকালীন এই রেকর্ড স্পর্ষ করেন ক্রিস গেইল ও এবি ডিভিলিয়ার্স।
শ্রীযুক্ত ধারাবাহিক
২০১৩ সালে ওপেনার হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে তাঁর রানের গড় পরের ৬ মরসুম ধরে একটানা ৫০-এর উপরে ছিল। একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি ছাড়া একমাত্র এবি ডিভিলিয়ার্সের এই কৃতিত্ব রয়েছে। এবি অবশ্য ২০০৯ থেকে ২০১৫ অর্থাত রোহিতের থেকেও এক মরসুম বেশি এই ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিলেন।
বছর হিসেবে রোহিতের রান ও গড় -
২০১৩:
ম্য়াচ
-
২৮,
রান
-
১১৯৬,
গড়
-
৫২,
শতরান
-
২
২০১৪:
ম্য়াচ
-
১২,
রান
-
৫৭৮,
গড়
-
৫২.৫৪,
শতরান
-
১
২০১৫:
ম্য়াচ
-
১৭,
রান
-
৮১৫,
গড়
-
৫০.৯৩,
শতরান
-
৩
২০১৬:
ম্য়াচ
-
১০,
রান
-
৫৬৪,
গড়
-
৬২.৬৬,
শতরান
-
২
২০১৭:
ম্য়াচ
-
২১,
রান
-
১২৯৩,
গড়
-
৭১.৮৩,
শতরান
-
৬
২০১৮:
ম্য়াচ
-
১৯,
রান
-
১০৩০,
গড়
-
৭৩.৫৭,
শতরান
-
৫
ওপেনার হয়েই সাফল্য
২০০৭ সালে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে অভিষেক হয়েছিল রোহিতের। তারপর থেকে ২০১৩ সাল অবধি মিডল অর্ডারের বিভিন্ন জায়গায় তিনি খেলেন। সেখানে মোটামুটি পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। কিন্তু একবার ওপেনারের জায়গাটা পাওয়ার পর থেকে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০০৭-২০১২: ম্য়াচ - ৮৬, রান - ১৯৭৮, গড় - ৩০.৪৩, স্ট্রা.রে. - ৭৭.৯৪, শতরান - ২
২০১৩-এখন পর্যন্ত: ম্য়াচ - ১১৩, রান - ৫৮২১, গড় - ৬০.০১, স্ট্রা.রে. - ৯২.৯৪, শতরান - ২০