করোনা লকডাউনে টাইম মেশিনে স্মৃতিতে ডুব, ২০০১ ঐতিহাসিক ইডেন টেস্ট নিয়ে কী বললেন সৌরভ
করোনা লকডাউনে টাইম মেশিনে স্মৃতিতে ডুব, ২০০১ ঐতিহাসিক ইডেন টেস্ট নিয়ে কী বললেন সৌরভ
করোনা লকডাউনে গৃহবন্দি হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় দলের ঐতিহাসিক ম্যাচের স্মৃতিতে ডুব দিলেন সৌরভ। বুধবার ১৯ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০০১ সালে ইডেনে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জয়ের মুহূর্তের স্মৃতিচারণা করলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত একটা উড়ালপুল
৩১ মার্চ। ভয়াল, ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেল কলকাতায়। পোস্তায় নির্মীয়মান বিবেকানন্দ সেতু ভেঙে পড়ল হুড়মুড়িয়ে। প্রাণ হারালেন ২৭ জন। শতাধিক মানুষ আহত। উদ্ধারকার্যে নামানো হল সেনাবাহিনীকে। ধ্বংসাবশেষের তলা থেকে উদ্ধার করা হল একে একে হতাহতদের। শুধু যানবাহনে থাকা যাত্রী সাধারণই নয়, পথচারীরাও চাপা পড়ে গেলেন নির্মীয়মান উড়ালপুল ভেঙে পড়ে। আগের রাতেই ঢালাই হয়েছিল ওই অংশের। পরদিন ব্যস্ত সময়ে সেই অংশ ভেঙেই বিপত্তি ঘটল। অভিযোগের তির উঠল রাজ্য সরকারের দিকে।
লকডাউনে গৃহবন্দি, এখন শুধু পরিবার আর টিভিতে ক্রিকেট
করোনার কারণে গৃহবন্দি হওয়ায় এখন পরিবারকে অনেক বেশি সময় দিচ্ছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশাসক হিসেবে ব্যবস্তার জন্য পরিবারকে সময় দিতে পারতেন না। এখন আকস্মিৎ ছুটিতে বাড়ি অনেকটা সময় স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে আড্ডার মধ্যে দিয়ে কাটছে। এর মাঝেই ক্রিকেটে মন পরে সৌরভের।
দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় তৃণমূল
৫৪ বছর পর প্রথম এ রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক দল এককভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এল। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় ২১১টি আসন দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। বাম-কংগ্রেস জোট পরাস্ত হল শোচনীয়ভাবে। গণতান্ত্রিক জোট সম্মিলিতভাবে পায় ৭৬টি আসন। তার মধ্যে কংগ্রেস ৪৪ ও বামফ্রন্ট ৩২টি আসন পায়। বিজেপি পায় ৬টি আসন। নির্দল ১টি। প্রধান বিরোধী দল হয় কংগ্রেস।
|
টাইম মেশিনে স্মৃতির পাতায় ডুব সৌরভের
বুধবার ফিরে দেখলেন তাঁর সময়ের সেরা ক্রিকেটের মুহূর্ত। ২০০১ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ভারত। লকডাইনে ডাউন মেমরি লেনে এক ক্রিকেট ভক্ত সেই ম্যাচের বিরল মুহূর্ত শেয়ার করেন। ম্যাচ জয়ের পর ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ছবিটা ঠিক কী ছিল, তা শেয়ার করেন ঐ ভক্ত। সেই টুইটটি সৌরভের চোখে পড়ে। এরপর সৌরভ স্মৃতিতে ডুব দেন। টুইটে ভিডিওটি রিপোস্ট করে সৌরভ লিখেছেন, 'অসাধারণ মুহূর্ত'
প্রয়াত ‘হাজার চুরাশির মা’ মহাশ্বেতা দেবী
বাংলা সাহিত্য সমাজ হারাল ‘হাজার চুরাশির মা'কে। ২৮ জুলাই প্রয়াত হলেন মহাশ্বেতা দেবী। দীর্ঘ রোগভোগের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ৯০ বছরে। তাঁর মৃত্যু সংবাদে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা বাংলায়। তাঁর মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সোনিয়া গান্ধী শোকজ্ঞাপন করেন। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি জ্ঞানপীঠ, পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। পান বঙ্গবিভূষণ সম্মান, সাহিত্য আকাদেমি, ম্যাগসেসে পুরস্কারও। বর্তমান সময়ে দেশের মধ্যে অন্যতম প্রবীণ সাহিত্যিক ছিলেন তিনি। সাহিত্য সৃষ্টির পাশাপাইশ তিনি আদিবাসী ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন।
টেস্টের ইতিহাসে ইডেনের সেই স্মরণীয় ম্যাচ
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইডেনে ভারতের সেই লড়াই টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ক্রিকেটের ইতিহাসে ফলো-অন করে জয়ের রেকর্ডেও ঢুকে পড়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতীয় ক্রিকেট দল। রাহুল-দ্রাবিড় ও ভি ভি এস লক্ষ্মণের ধ্রুপদী ব্যাটিং বিশ্বক্রিকেটের লোকগাথায় ঢুকে পড়ে।
ঐতিহাসিক সিঙ্গুর জয়
সিঙ্গুর আন্দোলনে শীর্ষ আদালতের রায়ে ঐতিহাসিক জয় পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ বছরের আন্দোলন শেষে সিঙ্গুরে কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দিলেন তিনি। ২০০৬ সালে টাটার ন্যানো কারখানার জন্য সিঙ্গুরের জমি দখল নিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। ২০১৬ সালে সেই আন্দোলনের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল জমি ফেরতের মাধ্যমে। এই আন্দোলনেই পোতা ছিল রাজ্যে পরিবর্তনের বীজ। ২০১১ সালে পরিবর্তনের সেই জোয়ারে ভেসে গিয়েছিল বামফ্রন্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন বেআইনিভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সিঙ্গুরে। ৩১ আগস্ট সেই দাবিতেই সিলমোহর দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
একনজরে সেই টেস্টের কিছু মুহূর্ত
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ভারতীয় বোলারদের চাপে রেখে ৪৪৫ রান করেছিল। প্রথম ইনিংসে অজি অধিনায়ক স্টিভ ওয়া সেঞ্চুরি করেন। এরপর প্রথম ইনিংসে ভারত ১৭১ রানে অল আউট হয়ে যায়। ফলে ফলো অনের মুখে পড়ে সৌরভ অ্যান্ড কোম্পানি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন। ইডেন টেস্টে রাহুল দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষ্মণ ইতিহাস রচনা করেছিলেন। দুই ডানহাতি জুটিতে ৩৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দ্রাবিড় ১৮০ ও লক্ষ্মণের ২৮১ রান করেছিলেন। দ্রাবিড়-লক্ষ্মণের এমন ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩৮৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। এরপর অস্ট্রলিয়াকে ২১২ রানে অল-আউট হয়ে ম্যাচ জেতে ভারত।
সন্ত হলেন মাদার
৪ সেপ্টেম্বর কলকাতার মাদার হলেন বিশ্বের সন্ত। আত্মত্যাগ, মানব সেবার সুমহান কর্মকাণ্ডের দৌলতে মাদার টেরেজা উত্তরণের সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছলেন শিখরে। রোমের ঐতিহ্যশালী ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ তাঁকে সেন্ট হিসেবে ঘোষণা করলেন। প্রয়াণের ২০ বছরের মধ্যে তিনি সন্ত হলেন। এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্যে এই প্রক্রিয়া চলে। দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। রোমের রাস্তা বাংলার সুরে ভেসে যায় মমতার সৌজন্যে। আগুনের পরশমণি, মঙ্গলদীপের আলোয় প্রতিভাত হয়ে ওঠে মাদারের সন্ত-পর্ব। মাদারের সৌজন্যে কলকাতার নাম জড়িয়ে যায় ভ্যাটিক্যান হোলির সঙ্গে।
হরভজন সিং
প্রথম ইনিংসে হ্যাটট্রিক করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করেন ভাজ্জি। প্রথম ইনিসংসে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন হরভজন সিং। ফল অনের মুখে পরেও ভারত ১৭১ রানে টেস্ট ম্যাচটি জিতেছিল।
রাজ্যজুড়ে শিশু পাচার চক্রের জাল
রাজ্যজুড়ে জাল ছড়িয়েছে শিশু পাচার। জীবিত সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করে শিশুদের বিক্রি করে দেওয়ার চক্রের হদিশ পায় সিআইডি। রাজ্যের বিভিন্ন নার্সিংহোম, বৃদ্ধাশ্রম, প্রতিবন্ধী আশ্রমের আড়ালে এই চক্রের রমরমা ছিল। সরকারি হাসপাতালেও এই চক্র কাজ করেছে। বহু নামী চিকিৎসকের নাম উঠেছে সদ্যোজাত পাচারের ঘটনা। এনেক চিকিৎসক ইতিমধ্যে গ্রেফতারও হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে শিশুর কঙ্কাল। সিআইডি রাডারে রাজ্যের বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেলেন কবি শঙ্খ ঘোষ
দু'দশক পর ফের জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। ২০১৬ সালের জ্ঞানপীঠ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন তিনি। মহাশ্বেতা দেবীর পর তিনিই দ্বিতীয় বাঙালি যিনি এই স্বীকৃতি। ১৯৯৬ সালে মহাশ্বেতী দেবী জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়ে বাংলা সাহিত্যকে গর্বিত করেছিলেন। আবারও একজন বাঙালি সাহিত্যিক বাংলাকে গর্বের আসনে তুলে ধরলেন। সাহিত্যে সারা জীবনের অবদানের জন্য তিনি জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে ভূষিত হলেন। বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক তথা সাহিত্য সমালোচক হিসেবে কবি শঙ্খ ঘোষের সুনাম ছিল সর্বজন বিদিত। তিনি একজন রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ হিসেবেও খ্যাতিমান ছিলেন। তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন তাঁর বাবরের প্রার্থনা কাব্যগ্রন্থটির জন্য। এতদিন পর্যন্ত জ্ঞানপীঠ পুরস্কার অধরাই ছিল বিখ্যাত এই কবি-সাহিত্যিকের। এবার সেই স্বীকৃতিও মিলে গেল তাঁর। তিনিই একমাত্র সাহিত্যিক যিনি ‘সরস্বতী' ও ‘জ্ঞানপীঠ' দুই পুরস্কারই পেলেন। তবে তিনি সরস্বতী পুরস্কা গ্রহণ করেননি। দেশিকোত্তম ও পদ্মভূষণ সম্মানেও ভূষিত হন তিনি।
১.৪ বিলিয়ন ভারতীয়র কাছে এখন বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ, করোনা উদ্বেগে কেন এমন বললেন শাস্ত্রী