পাকেচক্রে নাকি অ্যাক্সিডেন্টাল ক্রিকেটার, বাবার বাধায় পছন্দের পেশা বেছে নেওয়া হয়নি সৌরভের
পাকেচক্রে নাকি অ্যাক্সিডেন্টাল ক্রিকেটার, বাবার বাধায় পছন্দের পেশা বেছে নেওয়া হয়নি সৌরভ
তাঁর জীবনের চিত্রনাট্য কে লেখেন? সাংবাদিকদের মুখে এমন প্রশ্নের সামনে বারবার তাঁকে দাড়াতে হয়! ক্রিকেটার থেকে ক্যাপ্টেন, বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা! দল থেকে বাদ পরা থেকে ফের কামব্যাক। এরপর বাইশ গজকে গুডবাই জানিয়ে অবসর। নতুন ভূমিকায় ক্রিকেট প্রশাসক, টিভির জনপ্রিয় অ্যাঙ্কর হয়ে ওঠা।
বাইশ গজের মহারাজ থেকে দেশে ক্রিকেটে প্রশাসনের মহারাজ
পরের পর্বটা একেবারে থ্রিলার ছবি মাউন্টিং! যেখানে রাতারাতি সিএবি থেকে বিসিসিআইয়ে সৌরভ, সেটাও বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে, এখন আবার আইসিসিতেও যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। বাইশ গজের মহারাজ থেকে দেশে ক্রিকেটে প্রশাসনের মহারাজ এখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়!
ক্রিকেটার হতে চাননি সৌরভ
সেই সৌরভের সঙ্গে নাকি ক্রিকেটের কোনও যোগাযোগই হওয়ার কথা ছিল না, বিসিসিআই প্রেডিসেন্ট অবশ্য এমনটাই বলেছেন। শুধু তাই নয় যার নামের পাশে দেশের জার্সিতে ওডিআইয়ে দশ হাজারের বেশি রান, বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা অধিনায়কের তকমা, বিদেশের মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার গৌরব, সেই সৌরভ নাকি কোনও দিনও ক্রিকেটারই হতে চাননি! অবাক শুনতে লাগলেও ঠিক এমনটাই বলেছেন সৌরভ।
ক্রিকেট না হলে অন্য কিছু হতে চেয়েছিলেন সৌরভ
পাকে চক্রে পরেই তিনি ক্রিকেটার হয়েছেন বলে সৌরভ জানান। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্যাপ্টেন এক অ্যাপে সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রথম প্রেম ছিল ফুটবল। নিজেকে ছোট থেকেই ফুটবলার হিসাবেই প্রতিষ্ঠিত দেখতে চেয়েছিলেন সৌরভ।
মহারাজ যা বললেন
বাঙালি যাকে নিয়ে গর্ব করে সেই সৌরভ জানিয়েছেন, 'আমি ছোটবেলায় খুব দুরন্ত ছিলাম। বাবা ভেবেছিল, ক্রিকেটে দিলে দুষ্টুমি করার সময় পাব না। আমিও ভাবলাম, ক্রিকেট কোচিংএ গেলে বাবার বকুনি এড়ানো যাবে। বাবা সিএবির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। কিন্তু ছোটবেলার প্রথম প্রেম ছিল ফুটবল। বাবার জন্যই ক্রিকেট কোচিংএ গিয়ে ভর্তি হই।বাবা আমার মধ্যে কী দেখেছিলেন বলেননি, কিন্তু আমার ক্রিকেটার হওয়ার কোনও ইচ্ছে ছিল না। পরে এটাই ভালো লাগার জায়গা হয়ে ওঠে। পরের জার্নিটা আমি দারুণভাবে উপভোগ করি।'
কেন তামাক বা মাদকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে সচিন তেন্ডুলকরকে দেখা যায়নি কোনওদিন