করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট মাঠে আর হয়ত এই দৃশ্য দেখা যাবে না
করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট মাঠে আর হয়ত এই দৃশ্য দেখা যাবে না
ক্রিকেট মাঠে দৃশ্যটা খুবই পরিচিত। বল করার আগে বোলাররা তাঁদের রোদ চশমা আর টুপি খুলে আম্পায়ারদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে রান আপ নিতে চান। শীতের দিনে ম্যাচ হলে বোলারদের সোয়েটারটিও আম্পায়ারের কাছে জমা রেখে যেতে দেখা যায়। এরপর ওভার শেষ হলে বেলার তাঁর জিনিসগুলি ফের আম্পায়ারের থেকে সংগ্রহ করে ফিল্ডিং পজিশনে ফিরে যান। করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট মাঠে এই ছবিতেই এবার বদল আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংক্রমণ থেকে বাঁচতেই বদল আসতে পারে
বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যে কতটা ভয়ানক হতে পারে তার প্রমাণ মিলেছে। চিনের ইউয়ান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস এখন বিশ্বের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষকে সংক্রমিত করেছে। এই অবস্থায় করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট শুরু হলে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার দিকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হবে, ঠিক তেমনি আম্পায়ারদের স্বাস্থ্যের প্রতিও জোর দেওয়া হবে।
পরিবর্তে কোন ছবি দেখা যেতে পারে
ইসিবি আম্পায়ারদের ম্যানেজার ক্রিস কেলির কাছে আম্পায়াররা এবার থেকে ক্রিকেটারদের স্পর্শ করা টুপি বা সোয়েটার না রাখতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। করোনা মহামারি শেষে ক্রিকেট মাঠে ফিরলে তাই পরিচিত দৃশ্য পাল্টে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মাঠের বাইরে সীমানার ওপাশে এসব রেখে বোলারদের বল করতে আসতে দেখা যেতে পারে।
আম্পায়াররা হাতে দস্তানা পরবেন?
অন্যদিকে মাঠের বল ছক্কা হয়ে গ্যালারিতে পড়লে বল দর্শকদের সংস্পর্শে আসবেই। পরে ঐ বলেরই আকৃতি পরীক্ষা করার সময় বলটি আম্পায়ারদের হাতে ধরে দেখতে হবে। সেজন্যেই আম্পায়াররা হাতে দস্তানা পরবেন কি না সে সিদ্ধান্ত তাদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হবে। দর্শকশূন্য গ্যালারিতে ম্যাচ হলে অবশ্য আম্পায়ারদের হাতে গ্লাভস পড়ার যৌক্তিকতা নেই। ভাইরাসের সংক্রমণ এড়িয়ে চলতেই আগামী দিনে এই সব ব্যবস্থা হতে পারে।
লালার পরিবর্তে ঘামে ব্যবহার
উল্লেখ্য করোনা পরবর্তী সময় আগামী দিনে মুখে লালা বা থুতুর দিয়ে বলের পালিশ তৈরির পরিবর্তে ক্রিকেটারদের ঘাম দিয়ে বল পালিশ করতে দেখা যেতে পারে।