ভারতীয় ক্রিকেটে 'জয়-বীরু', বিরাট- শিখরের দোস্তিতে মাতোয়ারা ফ্যানরা
বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ান নিজেদের বন্ধুত্বের প্রমাণ দিলেন তৃতীয় একদিনের ম্য়াচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে-র পর
বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানের বন্ধুত্ব শুধু বাইশ গজের নয়। তাদের বন্ধুত্ব বাইশ গজের সীমা অতিক্রম করে। কখনও তাদের কেপটাউনের রাস্তায় নাচতে দেখা যায়, কখনও আবার তাদের জুটিকে বিয়েবাড়িতে নাচতে দেখা যায়। একেবার পাঞ্জাবি ঢঙে তাঁরা যেখানেই যান সেখানেই বিন্দাসভাবে নিজেদের মেলে ধরেন।
[আরও পড়ুন:ধোনি একাই '৪০০', ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে সাফল্যের নয়া নজির মাহির ]
রনজি ট্রফিতে দিল্লির জার্সি গায়ে একসঙ্গে খেলা থেকে শুরু এই জয়-বীরুর দোস্তি। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু আন্তর্জাতিক অঙিনায় পৌঁছে গেছেন দুই ক্রিকেটার। কিন্তু বন্ধুত্বে কোনও বদল হয়নি বরং আরও গাঢ় হয়েছে সেই বন্ধুত্বের রঙ। আর বাইশগজে যেদিন এই জুটি ধামাল দেখাবেন বলে মনে করেন সেদিন বিপক্ষের বোলারদের হাল হতশ্রী হয়ে যায়। আর সেটাই হল কেপটাউনে। সেখানে এই জুটি তোলে ১৪০ রান। পাশাপাশি ভারতও জেতে ১২৪ রানে সিরিজেও এই মুহূ্র্তে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ৩-০ এগিয়ে গেছে তারা।
এরপরই ইনস্টাগ্রামে নিজেদের একটা দারুণ ছবি দেন শিখর ধাওয়ান। এবং ট্যাগলাইন দেন জাট জী-র সঙ্গে দারুণ পার্টনারশিপে জয়। এবং বিরাটকেও সেই ছবিটি টাইমলাইনে শেয়ার করতে বলেন।
বিরাট কোহলি ১৬০ রানে দারুণ এক ইনিংস খেলেন,অন্যদিকে বল হাতে কুলদীপ যাদব ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন এবং যজুবেন্দ্র ২৬ রানে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন। ভারত ১২৪ রানে ম্যাচ জেতেন, যার জেরে ৩-০ ম্যাচ সিরিজ এগিয়ে গেছে। ৬ ম্যাচের সিরিজে এই মুহূ্র্তে পুরোপুরি চালকের আসনে ভারত।
নিউল্যান্ডসের ইনিংসে ফের শতরান করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অধিনায়ক হিসেবে ১১ শতরানের মাইলফলক টপকে গেলেন। পাশাপাশি জোহনসবার্গে ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১২৭ রান করেছিলেন জোহনসবার্গে, সেটাও এদিন বিরাট কোহলি টপকে গেলেন অপরাজিত ১৬০ রান করে। এটাই এখন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেটারের সেরা নক।
এছাড়াও রিকি পন্টিংয়ের পর বিরাট কোহলি দ্বিতীয় অধিনায়ক যিনি ১৫০ টপকে গেলেন। রিকি পন্টিং ২০০৬ সালে ১৫০ করেছিলেন প্রথম অধিনায়ক হিসেবে। এছাড়াও কোহলির ঝোলায় এখন ৫৪ টি আন্তর্জাতিক শতরান। তার সামনে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর (১০০), রিকি পন্টিং (৭১), সঙ্ঘকারা (৬৩) , জ্যাক কালিস (৬২)। এই মুহূর্তে মাহেলা জয়াবর্ধনে ও হাসিম আমলাক সঙ্গে এক সারিতে দাঁড়িয়ে।