ধোনি নয়, সৌরভের থেকে অনেক বেশি সমর্থন পেয়েছেন যুবরাজ!
ধোনি নয়, সৌরভের থেকে অনেক বেশি সমর্থন পেয়েছেন যুবরাজ!
দেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেট অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির থেকে যে সমর্থন পাননি, তা তাঁকে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছেন বলে সোজাসাপ্টা ভাষায় বললেন দেশের অন্যতম সেরা অল রাউন্ডার যুবরাজ সিং। ধোনি এবং সৌরভের অধিনায়কত্বের মধ্যে তুলনা টানতে না চাইলেও, মহারাজই যে সেরা, তা পরোক্ষে বুঝিয়েও দিয়েছেন যুবি।
সৌরভের নেতৃত্বে অভিষেক
২০০০ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সেরা ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, একই বছর কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়র শিবিরে ডাক পান। সৌজন্যে ভারতের তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্বাচকদের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করে যুবিকে দলে নেন তিনি। টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যুবির লড়াকু ইনিংস তাঁকে বিশ্ব আঙিনায় পরিচিতি দান করে। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি এই কিংবদন্তি অল রাউন্ডারকে।
কেমন অনুভূতি
শৈশব থেকে যে তারকাদের অন্ধের মতো অনুসরণ করেছেন, আচমকা তাঁদের সঙ্গে একই ড্রেসিং রুম শেয়ার করার সুযোগ পাওয়াটা তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো ছিল বলে জানিয়েছেন যুবরাজ সিং। তবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাঁর খুব একটা সমস্যা হয়নি বলেও জানিয়েছেন যুবি। অধিনায়ক সৌরভ সহ দলের বাকি সিনিয়র ক্রিকেটারদের বন্ধুত্বসুলভ আচরণ, তাঁর কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তন অল রাউন্ডার। স্বীকার করেছেন যে সেই সময় দলের সিনিয়রদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছিলেন।
সৌরভের থেকে বেশি সমর্থন
ক্রিকেট কেরিয়ারে ৩০৪টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন যুবরাজ সিং। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১১০ ও এমএস ধোনির অধিনায়কত্বে ১০৪টি ম্যাচ খেলেন যুবি। বাকি ম্যাচ রাহুল দ্রাবিড়, বীরেন্দ্র শেহওয়াগ এবং বিরাট কোহলির নেতৃত্বে খেলেন যুবি। তবে ক্রিকেটার হিসেবে নেতা সৌরভের থেকে তিনি যে সহযোগিতা পেতেন, তা দেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক এমএস ধোনির কাছ থেকে পাননি বলে সাফ জানিয়েছেন যুবরাজ সিং। এ ব্যাপারে টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও পিছিয়ে রেখেছেন ২০১৯-এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো যুবি।
ভারতীয় দলে ভালো মানুষের প্রয়োজন
বিরাট কোহলি নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা বলে স্বীকার করেও তাঁর মনে হয়, এই দলে এমন একজন মানুষের প্রয়োজন, যিনি মাঠের বাইরেও ক্রিকেটারদের সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন। কারণ ক্রিকেটারদের মাঠের বাইরের সমস্যার প্রভাব বাইশ গজে পড়ে বলেও মনে করেন যুবরাজ। তাঁর মতে, ভারতীয় দলে এমন একজন মনোবিদ প্রয়োজন, যিনি ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হবেন।