রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোল, থাকছে অনেক প্রশ্ন
অ্যারোজের বিরুদ্ধে১- ০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল , লালহলুদের হাজার আক্রমণ আটকেও শেষ মুহূর্তের গোলে জয় লালহলুদের
শেষ মুহূর্তের গোলে ডুডু বাঁচিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে ম্যাচ জিতল লাল হলুদ। পাশাপাশি ১৩ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ফের নিজেদের তিন নম্বর জায়গায় ফিরে গেল লালহলুদ।
তবে এই স্কোরলাইন সব কথা বলবে না। কার্যত আগ্নেয়গিরি ইস্টবেঙ্গল। দলের ভিতরে বাইরে সর্বত্র লাভা ফেটে বেরোনোর অপেক্ষায়। অ্যারোজের বিরুদ্ধে ম্যাচের দিন শুরুর আগেই বারাসত স্টেডিয়ামের বাইরে চলল বিক্ষোভ। তরুণ অ্যারোজকে আক্রমণে ছিঁড়ে খেল ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক গোলের সুযোগ যেভাবে হারালেন ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকাররা, তাতে জবাবদিহি ঠিক কে করবেন সেটা কিন্তু ম্যাচ শেষে বড় প্রশ্ন। গোলহীণ প্লাজাকে ছেড়ে যে ডুডুকে ঢাকঢোল পিটিয়ে আনা হয়েছে, তিনি অতীতের ছায়ামাত্রা। ওয়ান টু ওয়ান সিচুয়েশনেও যিনি গোলে বল রাখতে পারছেন না। কখনও হতে পারে সেটা বলটা চিপ করলেই গোল, কখনও আবার হেড সঠিক লক্ষ্যে গেলেই গোল। রবিবাসরীয় বারাসতে ডুডু সুযোগ নষ্ট যে পরিমাণে করলেন তার উত্তর কে দেবেন, তিনি নিজে, কোচ খালিদ জামিল , না তার রিক্রুটাররা। যদিও নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ৯২ মিনিটে হেডে গোল করে দলকে মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দেন তিনি। কিন্তু গোটা ম্যাচে যেভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন তাতে অন্তত তার নামের পাশে এদিন তিন গোল বসে।
এদিকে মোহনবাগানের ব্রাত্য ক্রোমা তাঁর অবস্থাও বিশেষ বলার মতো নয়। জুনিয়র প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে ঘাম ঝড়ালেন , দৌড়়লেন গোলের মুখও ওপেন করলেন শুধু গোল পেলেন না। শুধু এটকুই নয় কলকাতার জায়ন্টদের রোগ যে গভীরে এত দৌড়েও তা মালুম চলল। কারণ দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত দৌড় বিপক্ষের গোল মুখে পৌঁছে যাওয়া কাটসুমির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওপরে উঠছেন না সেটাও দেখা গেল অ্যারোজে-র বিরুদ্ধে ম্যাচে। কোচ কেভিন লোবোকে তুলে নিলে মাঠেই দেখা গেল কীভাবে কোচের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তিনি।
গোটা ম্যাচেই কার্যত অঙ্কের টেবলে বিচার করলে ৯০ শতাংশ ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ, আর ৯০ শতাংশ অ্যারোজের রক্ষণ। যে ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে লড়াই করেছিল, তার থেকে তিন পয়েন্ট একদম শেষ মুহূর্তে ছিনিয়ে আনলেও প্রশ্ন কিন্তু চাপা না পড়াই উচিত।