খালিদ বলছেন যাই-যাই, ফাঁপড়ে ইস্ট কর্তারা, ময়দানের নয়া পালা
আদৌ ভালো নেই ইস্টবেঙ্গল, চারদিক থেকে উঁকি মারছে নানা প্রশ্ন, যেগুলোর প্রকৃত সমাধান না করলে কিন্তু ক্লাবের হাল শুধরোবে না।
কোচের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলে।আসলে আইলিগ জয়ের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন নিয়ে মশাল জ্বালাতে নিয়ে আসা হয়েছিল খালিদ জামিলকে। আইজলকে আই লিগ দিতে পারেন যে কোচ তিনি কলকাতার সাজানো গোছানো ইস্টবেঙ্গলকে আরও কত কী দেবেন এই আশা ছিল সকলের। কর্মকর্তা থেকে সমর্থক সকলেই সকলেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন।
[আরও পড়ুন:সুপার কাপ হবেই ঘোষণা বিরক্ত কুশল দাসের, তবু প্রশ্ন থাকছেই]
কলকাতা লিগ জয় দিয়ে শুরুটা মন্দ হয়নি। কিন্তু আইলিগে আসতেই বেরিয়ে পড়তে শুরু করে এক একটা গন্ডগোল। কখনও কোচের প্লেয়ার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন, কখনও খেলার স্ট্র্যাটিজ নিয়ে প্রশ্ন। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে গেল দুটি ডার্বি ম্যাচেই হার। মুম্বইয়ের দোস্ত , ভিলেন হয়ে যেতে এক মুহূর্তের সময় নিলেন না।
বিভিন্ন বিদেশি পরিবর্তন করে আই লিগের দ্বিতীয় পর্বে ঝাঁঝ আনার একটা মরিয়া চেষ্টা করে দেখাচ্ছেন কর্তারা। কিন্তু সেরকম ফল তাতেও মেলেনি। তবে খালিদের আমলে সব বিতর্কই বড় হয়ে উঠছে কারণ খালিদের অন্তমুর্খী স্বভাব, যে ফুটবলারকে খেলার মধ্যে তুলে নেওয়ার জন্য শোরগোল উঠে যাচ্ছে তাঁর ৯০ মিনিট খেলার ক্ষমতাই নেই। সেটা প্লেয়ার -কর্মকর্তারা জানেন, কিন্তু সমর্থকদের তো সেটা জানা সম্ভব নয়, তাই কোচ মুখ বন্ধ রাখায় উঠে আসছে প্রশ্ন। এমনকি পাঞ্জাবী ব্রিগেডকে খেলানো হচ্ছে না - যে অভিযোগ উঠছে তারা আদৌ এটাই জানতে পারছেন না যে তাদের সেই কাঙ্খিত ফুটবলারদের চোট আঘাত রয়েছে। এই নামগুলো কেভিন লোবো, ও গুরবিন্দর সিং।
এদিকে কলকাতায় ফুটবল ময়দানের চাপ না নিতে পেরে ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের কাছে নিজে থেকেই ছেড়ে দিতে চাইছেন খালিদ। মঙ্গলবার নাকি লালহলুদ ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে নিজের ইচ্ছা জানিয়েছেন খালিদ। এমনকি নাকি কেঁদেও ফেলেন মুম্বইকার কোচ।
এদিকে কোচকে ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে আদৌ কী ভাববে সেটাই বুঝতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। কর্মকর্তাদের একটা অংশ চেয়েছিল খালিদ সরে যান, কিন্তু এখন তিনি নিজে সরে যেতে চাইলেও থাকছে অনেকগুলি সমস্যা। আর আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের বাকি ৫ টা ম্যাচ। কিন্তু এইটুকু সময়ের জন্য কোনও কোচ এসে দলের হাল হকিকত বুঝতেই তো অনেকটা সময় চলে যাবে। পাশাপাশি সুপার কাপ আদৌ না হলে এই পাঁচটা ম্যাচের জন্যেই কোচ প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে টাকার যোগানেরও একটা প্রশ্ন থাকছে।
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে দিয়ে কোচের দায়িত্ব পালন হলেও তাঁকে বেঞ্চে কোচ হিসেবে বসানো যাবে না। কারণ তাঁর কোচিংয়ে এ লাইসেন্স নেই। তবে যদি খালিদ জামিল নিজের থেকে কোচের পদে ইস্তফা দেন তাহলে সেক্ষেত্র এআইএফএফ অবশ্য কোচ খোঁজার জন্য ইস্টবেঙ্গলকে কিছুটা সময় দেবে। তবে এই মুহূর্তে দলের যা অবস্থা তাতে খালিদ হঠ করে ছেড়ে দিলে বেশ খানিকটা বিপাকেই পড়বে।
[আরও পড়ুন:রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোল, থাকছে অনেক প্রশ্ন]