কান্নানের শেষকৃত্য নিয়ে টানাপোড়েন, যুদ্ধ জিতলেন প্রথম স্ত্রী
'এশিয়ান পেলে' পুঙ্গম কান্নানের শেষকৃত্য নিয়ে তাঁর দুই স্ত্রীর মধ্যে নজিরবিহীন টানাপোড়েনের সাক্ষী থাকল কলকাতা ময়দান।
'এশিয়ান পেলে' পুঙ্গম কান্নানের শেষকৃত্য নিয়ে তাঁর দুই স্ত্রীর মধ্যে নজিরবিহীন টানাপোড়েনের সাক্ষী থাকল কলকাতা ময়দান। অবশেষে পুলিশি মধ্যস্থতায় ঠিক হয়, কলকাতা নয় বেঙ্গালুরুতে বুধবার প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
বেঙ্গালুরুতে থাকেন প্রয়াত পি কান্নানের প্রথম পক্ষের স্ত্রী বিজয়লক্ষ্মী। স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই কান্নানের মৃতদেহ সেখানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি তোলেন বিজয়লক্ষ্মী। কিন্তু দমদম থানা এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী অন্তরিও কান্নান স্বামীর শেষকৃত্য কলকাতায় করবেন বলেই জেদ ধরেন।
এই বিতর্কের নিষ্পত্তির জন্য দমদম থানার দ্বারস্থ হন পি কান্নানের দুই পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে থানার আধিকারিদের উপস্থিতিতে প্রাক্তন এই খেলোয়াড়ের মরদেহ প্রথমপক্ষের স্ত্রীর কাছেই ফিরিয়ে দিতে সম্মত হন অন্তরিও কান্নান। বুধবার পি কান্নানের মৃতদেহ বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলে শিবকুমার কান্নান।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভোগার পর গত রবিবার বিকেলে প্রয়াত হন 'এশিয়ান পেলে' পুঙ্গম কান্নান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ১৯৬৬ সালে ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে ভারতের হয়ে অংশগ্রহণ করা এই ফুটবলার দীর্ঘদিন কলকাতার মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলেন। তামিলনাডুতে জন্ম হওয়া ড্রিবল ও শুটিংয়ের রাজা কান্নান খেলেছেন বেঙ্গালুরু ও মাদ্রাজের ক্লাবেও চুটিয়ে খেলেছেন। বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফিও খেলেছেন এই ফুটবলার। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক কষ্টে ভোগা পি কান্নানের পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও মোহনবাগান ক্লাব।