পড়ে রইল দাদরির মাঠ, আরও একবার অভিভাবক-হারা তেন্ডুলকার
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকারের কোচ রমাকান্ত আচরেকর। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
বছরের শুরুতেই শোক নেমে এল মুম্বই তথা ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) চলে গেলেন প্রখ্য়াত ক্রিকেট কোচ তথা কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকারের গুরু রমাকান্ত আচরেকর। মুম্বইয়ের বাড়িতেই বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। 'দ্রোণাচার্য' কোচের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। এদিন বিকালে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে 'আচরেকর স্যার'-এর মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়।
অল্প বয়সের সচিনকে গড়ে পিটে তিনিই তৈরি করেছিলেন। বহুবার সচিনের মুখে তাঁর আচরেকর স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা ঝড়ে পড়েছে। মুম্বইয়ের দাদরির শিবাজী পার্কে আচরেকরের কাছে তরুণ সচিনকে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর দাদা অর্জুন তেন্ডুলকার। সচিন তখন স্কুলে পড়তেন।
যথার্থ জহুরির মতোই সচিনের প্রতিভাকে চিনে নিয়েছিলেন আচরেকর। দক্ষ হাতে হিরে কাটার মতোই তিনি সচিনকে তৈরি করেছিলেন। তাঁর পরামর্শেই মুম্বইয়ের স্কুল ক্রিকেটে নাম করা শারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরে ভর্তি হয়েছিলেন সচিন। এরপর বাকিটা ইতিহাস। ভারতের তথা বিশ্বকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
প্রতি বছর শিক্ষক দিবসে তাঁর ক্রিকেট গুরুর বাড়ি যেতেন সচিন। তাঁকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতেন।
১৯৯০ সালে আচরেকরকে ভারতীয় ক্রীড়া জগতে কোচিং-এর সর্বোচ্চ সম্মান দ্রোণাচার্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল। ২০১০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কারও দেয়। ওই একই বছরে স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড পত্রিকার তরফ থেকে তাঁকে সারা জীবনের অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয়েছিল।
তবে শুধু সচিন নয়, দাদরিতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত কামাথ মেমোরিয়াল ক্লাবে, তাঁর হাত থেকে ভারতীয় ক্রিকেট আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে পেয়েছে। এঁদের মধ্যে আছেন প্রবীন আমরে, বিনোদ কাম্বলি, অজিত আগরকার, সঞ্জয় বাঙ্গার, রমেশ পাওয়ার, বলবিন্দর সিং সান্ধু প্রমুখ।