'স্যার'কে কাঁধ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সচিন, সামলাতে পারলেন না কাম্বলিও, দেখুন ভিডিও
শৈশবের গুরু রমাকান্ত আচরেকরের শেষ যাত্রায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল সচিন তেন্ডুলকারকে। এমনকি বিনোদ কাম্বলিও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না।
বুধবার (৩ জানুয়ারি), শৈশবের গুরু রমাকান্ত আচরেকরের শেষ যাত্রায় সামিল হলেন তাঁর কৃতী ছাত্ররা। কান্নায় ভেঙে পড়লেন সচিন তেন্ডুলকার। আবেগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন কাম্বলি-সমীর দিঘেরাও। 'আচরেকর স্যার' কে শ্রদ্ধা জানালো তাঁর কর্মভূমি শিবাজি পার্কও। উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ রাজ ঠাকরেও।
মঙ্গলবার, সন্ধ্যাবেলা শেষ হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের এক অধ্যায়। জীবনাবসান ঘটেছিল ভারতীয় ক্রিকেটকে বহু মণি-মুক্ত উপহার দেওয়া কোচ রমাকান্ত আচরেকরের। এদিন ছিল তাঁর শেষ যাত্রা। সেখানে প্রাণ-প্রিয় আচরেকর স্য়ারকে কাঁধ দিতে সবার আগে এগিয়ে এলেন তাঁর সেরা ছাত্র সচিন তেন্ডুলকরই। ছিলেন কিরণ মোরে-সহ অন্যান্যরাও।
অন্তিম যাত্রাতেও 'আচরেকর স্যার'-এর মাথায় ছিল তাঁর সিগনেচার 'ফেল্ট ক্যাপ'। সচিন সহ তাঁর অন্তিম যাত্রার সঙ্গীরা সবাই ছিলেন সাদা পোশাকে। দৃশ্যতই এদিন বেদনাহত ছিলেন ক্রিকেট-ঈশ্বর। কাঁধে করে গুরুর দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় দুচোখ লাল হয়ে জল ঝড়ছিল তাঁর। পিতার মৃত্যুর পর বিশ্বকাপে ফিরে এসে শতরান করেছিলেন তিনি। সেই দিন, আর ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর দিনের পর এতটা আবেগ জড় জড় অবস্থায় সচিনকে আর কখনও দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার, শিক্ষকের প্রয়াণের খবর পেয়েই তাঁর বাসভবনে হাজির হয়েছিলেন সচিন। জানিয়েছিলেন তাঁর স্যারের উপস্থিতিতে সম্বৃদ্ধ হবে স্বর্গের ক্রিকেট। জানিয়েছিলেন স্যার কীভাবে তাঁদের খেলায়, জীবনে সোজা পথে থাকার শিক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন আর ভাষা ছিল না তাঁর মুখে।
রমাকান্ত আচরেকরের দেহ এদিন নিয়ে যাওয়ার হয় তাঁর ক্রিকেটার তৈরির কারখানা, মুম্বইয়ের দাদরির শিবাজি পার্কেও। সেখানে উঠতি ক্রিকেটাররা ব্য়াট তুলে তাঁকে সম্মান জানান। সেই গার্ড অব অনার নিতে নিতেই অমৃতলোকের পথে পা বাড়ান ভারতীয় ক্রিকেটের প্রধান ভিতের স্থপতি।