বিনা দোষে পেয়েছেন শাস্তি - আইএসএল শুরুর একসপ্তাহ আগেই বিতর্ক তুলে দিলেন আনাস
এই বছরের আইএসএল শুরুর এক সপ্তাহ আগে, কেরল ব্লাস্টার্সের আনাস দাবি করলেন, তাকে কোনও বিনা দোষে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গত বছর সুপারকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁকে ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
আইএসএল শুরুর আগেই ভারতীয় ফুটবলে হইচই ফেলে দিলেন আনাস এডাথোড়িকা। এবছর তাঁর গায়ে আছে কেরল ব্লাস্টার্স-এর জার্সি। কিন্তু শুরুর তিনটি ম্যাচেই খেলা হবে না তাঁর। কারণ সুপার কাপে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাঁকে তিন ম্যাচ ব্যান করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ছিল আইএসএল-এর মিডিয়া ডে। সেখানে আনাস দাবি করলেন তাঁকে বিনা দোষে শাস্তির কবলে পড়তে হয়েছে। একটি দাবিতেই তুমুল হইচই ফেলে দিয়েছেন ভারতীয় জাতীয় দলের এই ফুটবলারটি।
ঘটনাটি চলতি বছরের এপ্রিলের। এফসি গোয়া এবং জামসেদপুর এফসির মধ্যে হয়েছিল সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। সেই সময় আনাস খেলতেন জামসেদপুরের হয়ে। সেই ম্যাচে হাফটাইমে টানেল দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার জন্য দুইদলের ৩ জন করে মোট ৬ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে আনাসের নামও ছিল। শুধু তাই নয় আনাসকে বাড়তি ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও দিতে হয়।
কিন্তু এদিন আনাস এক অন্য কাহিনি জানান। তাঁর দাবি তিনি হাতাহাতি যুক্ত তো ছিলেনই না বরং হাতাহাতি থামাতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন বিষয়টি এরকম, 'রাস্তায় কোথাও মারামারি হল। পুলিশ আসল কালপ্রিটকে ধরতে পারল না। বরং সেখানে উপস্থিত একজনকে ধরল। তার ছবি তুলে নিয়ে বলে দিল সেই দোষী'। তিনি জানিয়েছেন দোষ না করেও শাস্তি পাওয়াটা তাঁর মোটেই ভাল লাগেনি।
কী ঘটেছিল টানেলে? সেই ম্যাচে এফসি গোয়ার পক্ষে একটি বিতর্কিত গোল করেছিলেন ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ। জামশেদপুরের গোলকিপার ছিলেন সুব্রত পাল। তিনিই ছিলেন দলের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়। আনাস জানিয়েছেন সিনিয়রদের তিনি খুবই শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু এফসি গোয়ার কিছু জুনিয়র ফুটবলার হাফটাইমে টানেলে সুব্রত পালকে অপমান করেন। আনাসের দাবি তিনি শুধু তাঁদের বলেছিলেন একজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে অপমান করাটা উচিত নয়।
তিনি দাবি করেছেন ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলেই সব সাফ হয়ে যাবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন এফসি গোয়ার কোচ ডেরেক পেরেরাও জানেন ঠিক কি ঘটেছিল। তিনি তা সত্ত্বেও তাঁকেই সবচেয়ে বেশি শাস্তি পেতে হয়।
ফলে, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর এটিকের বিরুদ্ধে কেরল ব্লাস্টার্সের হয়ে প্রথম ম্যাচে তো তাঁর খেলা হবেই না, সেই সঙ্গে ৫ ও ২০ অক্টোবর মুম্বই ও দিল্লি ম্যাচও মিস করবেন এই ডিফেন্ডার।
এবাবে সরাসরি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য কিন্তু আরও বড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকে। তাতে তিনি নির্বিকার। তিনি জানিয়েছেন তিনি নিজের কাছে সত থাকতে চেয়েছেন, সেটাই আসল কথা। এর জন্য জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হলেও তাঁর আফশোষ হবে না।